গোবিন্দ রায়: কলকাতা হাই কোর্টে ফের ধাক্কা তৃণমূলের। বনগাঁ দক্ষিণের জয়ী তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকারের নাগরিকত্ব নিয়ে সামনে এল বিস্ফোরক তথ্য। বনগাঁ দক্ষিণ থেকে ভোটে লড়লেও তিনি ভারতের নাগরিকই নন। আদতে বাংলাদেশি। সূত্রের খবর, তৃণমূল প্রার্থীকে ভারত ছাড়া করার বিষয়ে নির্বাচন কমিশনকে সুপারিশ হাই কোর্টের।
আলোরানি সরকার বর্তমানে বীজপুরে থাকেন। তৃণমূল তাঁকে বনগাঁ দক্ষিণের প্রার্থী করে। তবে বিজেপি প্রথম থেকে অভিযোগ জানায়, আলোরানির আদিবাড়ি বাংলাদেশের বরিশালে। তাঁর স্বামী হরেন্দ্রনাথ সরকার বাংলাদেশের একজন চিকিৎসক। তবে মনোনয়নপত্রে আলোদেবী তাঁর স্বামীর কোনও তথ্য দেননি। বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদার প্রশ্ন তোলেন, তৃণমূল প্রার্থী আলোরানি সরকার বাংলাদেশের নাগরিক। পাশাপাশি তিনি ভারতের নাগরিক। দুই দেশের নাগরিক হয়ে কি করে ভোটে লড়েন?
[আরও পড়ুন: ওজু না করেই জ্ঞানবাপীতে নমাজপাঠ, জল্পনায় সরগরম কাশীর হাওয়া]
বনগাঁ দক্ষিণের ফলপ্রকাশের পর হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন আলোরানি। বনগাঁ দক্ষিণের বিজেপি প্রার্থী স্বপন মজুমদারের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেন তিনি। শুক্রবার ওই মামলা খারিজ করে দেয় হাই কোর্ট। দায়িত্বশীল দল হিসাবে কীভাবে একজন বাংলাদেশী ভারতের নির্বাচনে প্রার্থী হলেন, সেই প্রশ্ন তোলেন হাই কোর্টের বিচারপতি বিবেক চৌধুরী। হাই কোর্টের নির্দেশের কপি পাঠানো হবে নির্বাচন কমিশনে। আলোরানি সরকারের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনে বাংলাদেশি দুই তারকা নূর আবদুন গাজি এবং ফিরদৌসকে দিয়ে প্রচার করায় তৃণমূল। আইনি বিপাকে নূর আবদুন গাজিকে কলকাতা ছেড়ে ফিরে যেতে হয়। ফিরদৌসের পাসপোর্ট কালো তালিকাভুক্ত করা হয়েছে।