নন্দন দত্ত, সিউড়ি: নির্দেশ ছিল যে রাজ্যের ২৯৪ কেন্দ্রে কে, কোথায় নির্বাচনী লড়াই লড়বেন, তা ঠিক করেছেন স্বয়ং তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। তাই যে কোনও দ্বন্দ্ব ভুলে তাঁর হয়েই প্রচারে নামতে হবে সবাইকে। কিন্তু তার মাঝেও তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা নিয়ে জেলায় জেলায় বিক্ষোভের আঁচ খুব কম নয়। এবার তাতেই যুক্ত হল বীরভূমের (Birbhum) দুবরাজপুর। এই কেন্দ্রে ঘাসফুল শিবিরের প্রার্থী অসীমা ধীবর। কিন্তু তাঁকে পছন্দ নয় জেলা নেতৃত্বের একটা বড় অংশের। ফলে প্রার্থী বদলের দাবি উঠছিল। সেই দাবি আরও উসকে দিলেন বীরভূমের তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। প্রার্থী অসীমা ধীবরকে তিনি জানিয়ে দিলেন, আর প্রচার করা যাবে না।যার জেরে দুবরাজপুরে তৃণমূলের প্রার্থী বদলের সম্ভাবনা প্রবল এই মুহূর্তে।
একুশের নির্বাচনের জন্য গত ৫ তারিখ রাজ্যের ২৯৪ কেন্দ্রের প্রার্থীদের নাম ঘোষণা করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অধিকাংশ কেন্দ্রে স্থানীয়, লড়াকু নেতাদের গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে প্রার্থী নির্বাচনের ক্ষেত্রে। তাতেই দুবরাজপুরের প্রার্থী হিসেবে উঠে এসেছে অসীমা ধীবরের নাম। প্রার্থী হয়ে তিনি প্রচারেও নেমেছেন। কিন্তু খয়রাশোল এবং দুবরাজপুরের বিস্তীর্ণ অংশের তৃণমূল (TMC) নেতৃত্বের পছন্দ নয় অসীমা ধীবরকে। তাঁরা জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের (Anubrata Mandal) কাছে এই মর্মে আবেদন জানান। প্রার্থী বদলের কথাও বলেন।
[আরও পড়ুন: ফের রীতি বদল! দোলের দিন নয়, আজই বসন্ত উৎসব বিশ্বভারতীতে]
এরপর সোমবার বোলপুরে জেলার সদর কার্যালয়ে মহিলা তৃণমূলের সদস্যদের নিয়ে বৈঠক করেন অনুব্রত মণ্ডল। বৈঠকে ডাকা হয় অসীমা ধীবরকেও। তাঁর দাবি, আলোচনার পর অনুব্রত তাঁকে প্রচারে যেতে নিষেধ করেন। জানানো হয়, প্রার্থীপদ বদল হবে। তাই অসীমাদেবী যেন আর নিজের হয়ে প্রচারে না যান। উল্লেখযোগ্যভাবে, বীরভূমের সবক’টি কেন্দ্রের প্রার্থীরা প্রচারের জন্য দলের প্রতীক পেলেও তা পাননি অসীমা ধীবর। তখনই বোঝা যাচ্ছিল যে অসীমাকে নিয়ে সংশয় দানা বেঁধেছে। ফলে মঙ্গলবার থেকে অসীমা ধীবর প্রচার বন্ধ করে বাড়িতেই রয়েছেন বলে খবর। এ নিয়ে জেলায় দলীয় পর্যবেক্ষক সুদীপ্ত ঘোষ বলেন, ”এই কেন্দ্রের প্রার্থী বদলের জন্য প্রস্তাব পাঠানো হয়েছে। তিনটি নাম রয়েছে তাতে। বর্তমান বিধায়ক নরেশ বাউড়ি ও ইলামবাজারের দুই শিক্ষক। এই তিনজনের মধ্যে থেকে শীর্ষ নেতৃত্ব কাকে বেছে নেন, তার জন্য অপেক্ষায় আছি।”