নন্দন দত্ত, সিউড়ি: কখনও চড়াম-চড়াম স্বরে ঢাক বাজত, কখনও আবার রাস্তায় দাঁড়িয়ে থাকত উন্নয়ন! অনুব্রত মণ্ডলের আমলের সেই রাজনৈতিক উত্তাপ কিছুটা প্রশমিত হয়েছে তাঁর অনুপস্থিতিতে! নাহলে কি মনোনয়ন জমা করতে এসে বিরোধী প্রার্থীকে দেখে সৌজন্য দেখান তৃণমূলের বিদায়ী সাংসদ তথা এবারে প্রার্থী শতাব্দী রায়। গরমের মাঝে এমন রাজনৈতিক পরিবেশ বেশ শীতল করেছে রাজনৈতিক পরিবেশকে!
সোমবার সিউড়ি প্রশাসনিক ভবনে তৃণমূল ও জোট প্রার্থীরা মনোনয়ন জমা দিতে আসেন। তৃণমূলের শতাব্দী রায় বীরভূম কেন্দ্রের তাঁরই প্রতিদ্বন্দ্বী কংগ্রেস প্রার্থী মিলটন রশিদের জন্য অপেক্ষা করেন। দেখা হতেই সৌহার্দ্য বিনিময় করেন দুজনে। শতাব্দী বলেন,"আমি অরাজনৈতিক লোক। আমি নির্বাচনে এমনই সৌহার্দ্য রাখতে চায়। ও যখন বিধায়ক ছিল আমরা একই কমিটিতে ছিলাম। আমি ওকে বারেবারে বলতে দিতাম।" মিলটনের কথায়, "বিধায়ক থাকাকালীন ট্রেনে যেতে যেতে কত কথা হয়েছে। গল্প হয়েছে। রাজনীতির থেকে ব্যক্তিগত সম্পর্ক আমাদের মজবুত।"
[আরও পড়ুন: SSC মামলা: প্যানেল বাতিল হলেও বহাল বীরভূমের সোমা দাসের চাকরি, কোন যুক্তিতে?]
যদিও বিষয়টিকে কটাক্ষ করেছেন বিজেপি প্রার্থী দেবাশিস ধর। বলেন, "সৌজন্য অবশ্যই ভাল। কিন্তু এটা যেন নকল সৌজন্য না হয়। কারন সংসদের বিরোধী দলনেতা যে অবস্থান নিচ্ছেন তা সৌজন্য ছাড়িয়ে যেন সেটিংয়ে না যায়।"