সুনীপা চক্রবর্তী, ঝাড়গ্রাম: বিজেপিতে (BJP) নেই কাজের সুযোগ। তাই দলবদল করলেন ঝাড়গ্রামের সাঁকরাইল ব্লকের ছত্রী গ্রাম পঞ্চায়েতের বিজেপি উপপ্রধান। ওই পঞ্চায়েতের দখল নিল ঘাসফুল শিবির। যদিও উপপ্রধানকে ঘাসফুল শিবিরে যোগদানের জন্য জোর করা হয়েছে বলেই অভিযোগ গেরুয়া শিবিরের। তবে সে অভিযোগ অস্বীকার করেছেন খোদ উপপ্রধান।
ছত্রী গ্রামপঞ্চায়েতটি ছিল বিজেপির দখলে। পঞ্চায়েত নির্বাচনে ৮টি আসনের মধ্যে বিজেপি পেয়েছিল ৬টি। বাকি ২টি আসন পেয়েছিল তৃণমূল। পরে বিজেপির ৩ জন পঞ্চায়েত সদস্য তৃণমূলে যোগদান করেন। ফলে তৃণমূলের পঞ্চায়েতে দাঁড়ায় ৫ জন সদস্য। আগেই বিজেপির প্রধানের বিরুদ্ধে অনাস্থা প্রস্তাব আনা হয়েছিল। শুক্রবার ছিল অনাস্থার ভোটাভুটি। তার আগে বিজেপির উপপ্রধান তৃণমূলে যোগদান করেন। ফলে তৃণমূলের সদস্য সংখ্যা বেড়ে দাঁড়ায় ৬। আর বিজেপি ২। শুক্রবার চুনপাড়া প্রাথমিক বিদ্যালয়ে গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক খগেন্দ্রনাথ মাহাতো, সাঁকরাইল ব্লক তৃণমূল সভাপতি কমলকান্ত রাউত, সাঁকরাই্ল ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি পিন্টু মাহাতো-সহ একাধিক নেতৃত্বের উপস্থিতিতে ছত্রী গ্রাম পঞ্চায়েতের উপপ্রধান রাসমনি সোরেন তৃণমূলে (TMC) যোগদান করেন। তাঁর সঙ্গে আরও বেশ কয়েকজন বিজেপি কর্মীও তৃণমূলে যোগ দেন। তারপর সেখান থেকে মিছিল করে গ্রামপঞ্চায়েত অফিসে যান। এদিন বিজেপির প্রধান এবং এক সদস্য উপস্থিত ছিলেন না। তৃণমূলের পক্ষে উপপ্রধান-সহ মোট ৬ জন স্বাক্ষর করেন। ফলে গ্রামপঞ্চায়েত তৃণমূলের দখলে চলে আসে।
[আরও পড়ুন: মাঠে কাজের সময় প্রবল বৃষ্টি, বাঁকুড়ায় বজ্রাঘাতে প্রাণহানি ২ কৃষকের]
সাঁকরাইল ব্লকের মোট ১০টি গ্রামপঞ্চায়েতের মধ্যে ৫টি ছিল বিজেপির দখলে এবং ৫টি ছিল তৃণমূলের দখলে। ছত্রী গ্রামপঞ্চয়েত তৃণমূলের দখলে আসার ফলে বর্তমানে ব্লকে ৬টি গ্রামপঞ্চয়েত তৃণমূলের দখলে রইল। উপপ্রধান রাসমনি সোরেন তৃণমূলে যোগদানের পর বলেন, “বিজেপি গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত। ফলে কেউ কাজ করার সুযোগ পাচ্ছেন না।” অন্যদিকে গোপীবল্লভপুরের বিধায়ক খগেন্দ্রনাথ মাহাতো বলেন, “বিজেপির উপপ্রধান-সহ বহু কর্মী তৃণমূলে যোগদান করেছেন। তার ফলে ছত্রী গ্রামপঞ্চায়েতে তৃণমূল বোর্ড গঠন করবে।” সাঁকরাইল ব্লক যুব তৃণমূলের সভাপতি পিন্টু মাহাতো বলেন, “গ্রামপঞ্চায়েতটি তৃণমূলের দখলে এসেছে। এবার পঞ্চায়েত আইন অনুযায়ী বোর্ড গঠন হবে।” উপপ্রধানের দলবদলে অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। উপপ্রধানকে দলবদলে বাধ্য করা হয়েছে বলে অভিযোগ বিজেপির।