নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: রাজ্যসভা ও লোকসভা মিলিয়ে সংসদে তৃণমূল কংগ্রেসের সদস্য সংখ্যা ৩৬। সব ধরনের সংসদীয় কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে সংসদের তৃতীয় বৃহত্তম দল তৃণমূলকে ব্রাত্য করেই রাখল কেন্দ্রের শাসকদল বিজেপি (BJP)। স্থায়ী কমিটির পরে এবারে অন্যান্য কমিটির চেয়ারম্যানের পদও তৃণমূলের জন্য বরাদ্দ করল না সরকারপক্ষ। অথচ সাংসদ সংখ্যার নিরিখে তৃণমূলের থেকে পিছিয়ে থাকা প্রায় সমস্ত দলের কপালেই কমিটির চেয়ারম্যান পদ জুটেছে।
গত অক্টোবরে সংসদের ২৪টি স্থায়ী কমিটি ঘোষণা করা হয়েছিল। একটিতেও চেয়ারম্যানের পদ তৃণমূলকে (TMC) দেওয়া হয়নি। ওই নিয়ে তৃণমূলের প্রতিবাদের পরেও আরও ৩২টি অন্যান্য কমিটি ঘোষণা হলেও, কোনওটিতেই চেয়ারম্যান পদ দেওয়া হয়নি তৃণমূলকে। বাংলার শাসকদলের দাবি, এটা বিজেপির সংকীর্ণ রাজনীতির উদাহরণ। বিজেপি সংসদীয় রাজনীতির তোয়াক্কা করে না। তবে কোনও কমিটির চেয়ারম্যান পদ চেয়ে কেন্দ্রের কাছে দরবার করা হবে না বলেই জানিয়েছে তৃণমূল।
[আরও পড়ুন: কাটল আইনি বাধা, নীরব মোদির ভারতে প্রত্যর্পণে সায় লন্ডন হাই কোর্টের]
সূত্রের খবর, রাজ্য বিধানসভায় কোনও কমিটিতে বিজেপিকে চেয়ারম্যান পদ দেওয়া হয়নি। তার পালটা, বিজেপি সংসদীয় কমিটিগুলিতে তৃণমূলের সঙ্গে একই ব্যবহার করেছে। রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষের দপ্তর সূত্রে জানা গিয়েছে, বিজেপিকে সেখানে আটটি কমিটির চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হয়েছিল, তারা নিজেরাই সেগুলি ছেড়ে দিয়েছে।
এদিকে, সরকারপক্ষের আচরণের তীব্র নিন্দা করার পাশাপাশি এসব করে সংসদে তৃণমূলকে কোণঠাসা করা যাবে না তা বুঝিয়ে দিয়েছে তৃণমূল নেতৃত্ব। এদিন তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা ডেরেক ও’ব্রায়েন এই প্রসঙ্গে বলেন, “আমরা ওদের পা ধরব না, মাথা উঁচু করে লড়াই করব। তৃণমূল এই সরকারকে এক্সপোজ করে যাবে। তা সংসদের অন্দরে হোক বা বাইরে। বেকারত্ব থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি কৃষকদের আয় দ্বিগুণ করার প্রতিশ্রুতি– সব ক্ষেত্রেই যে সরকার ব্যর্থ তা আমরা মানুষের সামনে তুলে ধরব।”