দীপঙ্কর মণ্ডল: জনসংঘের প্রতিষ্ঠাতা ভারত কেশরী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের (Syama Prasad Mukherjee) মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে চলেছে রাজ্য সরকার। বুধবার কলকাতার কেওড়াতলা মহাশ্মশানে শ্যামাপ্রসাদের মূর্তিতে মাল্যদান করবেন শিক্ষামন্ত্রী অধ্যাপক ব্রাত্য বসু (Bratya Basu)। সোমবার নবান্নের তরফে জানানো হয়েছে এই খবর। রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্ত নিয়ে চর্চা হচ্ছে সর্বত্র।
জনসংঘ থেকেই জন্ম নেয় ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP)। যে দল এখন কেন্দ্রে ক্ষমতাসীন। রাজ্যের বিরোধী দল হিসাবে এবার প্রথম স্বীকৃতি আদায় করেছে শ্যামাপ্রসাদের পার্টি। ১৯৪৭ সালের ২০ জুন শ্যামাপ্রসাদের নেতৃত্বে পশ্চিমবঙ্গ আনুষ্ঠানিকভাবে ভারতের অংশ হয়। সেদিন শ্যামাপ্রসাদ-পন্থী ৫৪ জন বিধায়কের প্রবল দাবির ফলে পশ্চিমবঙ্গ আলাদা রাজ্যের স্বীকৃতি পায়। সে কথা স্মরণে রেখে প্রতিবছর বিজেপি ২০ জুন দিনটিকে ‘পশ্চিমবঙ্গ দিবস’ হিসাবে পালন করে। রবিবার এ রাজ্যে ধুমধাম করে দিনটি পালন করেছে গেরুয়া দল। তার ঠিক দু’দিন বাদেই ২৩ জুন শ্যামাপ্রসাদের মৃত্যুবার্ষিকী। এই দিনটিও উদযাপনের প্রস্তুতি নিচ্ছে মুরলিধর সেন লেন।
[আরও পড়ুন: হ্যাকারদের নিশানায় দেশের প্রতিরক্ষা ওয়েবসাইট! চিনা ‘চর’ হানকে জেরায় চাঞ্চল্যকর তথ্য]
সোমবার রাজ্যের তথ্য সংস্কৃতি দপ্তর থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়েছে বুধবার সকাল সাড়ে এগারোটায় কেওড়াতলা মহাশ্মশানে গিয়ে শ্যামাপ্রসাদের মূর্তিতে পুষ্পার্ঘ্য দেবেন শিক্ষামন্ত্রী। ১৯৫১ সালে পশ্চিমবঙ্গের জন্মদাতা ভারতকেশরী শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায় প্রতিষ্ঠা করেন ভারতীয় জনসংঘ দল। ১৯৭৭ সালে জরুরি অবস্থার পর জনসংঘ একাধিক রাজনৈতিক দলের সঙ্গে মিশে জনতা পার্টি গঠন করে। ১৯৭৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে জনতা পার্টি ক্ষমতাসীন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসকে পরাজিত করে সরকার গঠন করে। ১৯৮০ সালে জনতা পার্টি অবলুপ্ত হলে জনসংঘের প্রাক্তন সদস্যরা বিজেপি গঠন করেন। শ্যামাপ্রসাদকেই বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা ধরা হয়। তৃণমূল সরকার তাদের প্রতিপক্ষ দলের প্রতিষ্ঠাতার মৃত্যুবার্ষিকী পালন করতে চলেছে, এই খবরে চাঞ্চল্য দেখা দিয়েছে রাজনৈতিক মহলে।