পুরভোটের প্রাক্কালে রাজনৈতিক অশান্তিতে তপ্ত ত্রিপুরা (Tripura)। আগরতলায় ভোটের প্রচারে গিয়ে একাধিক অভিযোগে গ্রেপ্তার যুব তৃণমূলের সভাপতি সায়নী ঘোষ (Saayoni Ghosh)। রবিবার দিনভর দফায় দফায় রাজনৈতিক সংঘর্ষ চলেছে সেখানে। এর প্রতিবাদে আজ দিনের শুরু থেকেই বিজেপি বিরোধী জোড়া কর্মসূচি রয়েছে ত্রিপুরা ও দিল্লিতে। তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক যাচ্ছেন ত্রিপুরায়। এদিকে, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের (Mamata Banerjee) দিল্লি সফরে তৃণমূল সাংসদরা ত্রিপুরা ইস্যুতে রাষ্ট্রপতি ও কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর দ্বারস্থ হতে চলেছেন।
রাত ৮.৪৫: উসকানিমূলক মন্তব্যের অভিযোগে এবার সোনামুড়া থানায় ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে দায়ের হল অভিযোগ। এফআইআর দায়ের করলেন এক বিজেপি কর্মী।
সন্ধে ৬.৩৩: ত্রিপুরা থেকে দিল্লির রওনা দিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বলে রাখা ভাল, ত্রিপুরা সরকার সুপ্রিম কোর্টের রায়ের অবমাননা করেছে, এই অভিযোগ সুপ্রিম কোর্টে মামলা হয়েছে। মঙ্গলবার সেই মামলার শুনানি রয়েছে। সেই সূত্রেই তিনি দিল্লি যাচ্ছেন বলে দলীয় সূত্রে খবর।
সন্ধে ৬.০০: ‘সত্যের জয়’, জামিন পেয়ে বললেন সায়নী ঘোষ।
বিকেল ৫.৫৫: ত্রিপুরার আদালতে অবশেষে জামিন পেলেন তৃণমূলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষ।
বিকেল ৪.৫০: আগরতলা আদালতে পেশ করা হল সায়নী ঘোষকে। ২ দিন হেফাজতের আবেদন জানাল পুলিশ।
বিকেল ৪.৩৪: অমিত শাহর বাসভবনে পনেরো মিনিট ধরে আলোচনা তৃণমূল সাংসদদের। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী তাঁদের কথা শোনেন। জানান, ত্রিপুরা সরকারের সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁর। ত্রিপুরায় আর হিংসা হবে না বলে আশ্বাস দিয়েছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। আলোচনা শেষে বেরিয়ে জানালেন তৃণমূল সাংসদ কল্য়াণ বন্দ্যোপাধ্যায়।
বিকেল ৪.১৫: তৃণমূল সাংসদদের সঙ্গে বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী।
বিকেল ৪.০১: দিল্লিতে অমিত শাহের বাসভবনে পৌঁছলেন ১৫ জন তৃণমূল সাংসদ।
দুপুর ৩.৫০: সায়নী ঘোষের গ্রেপ্তারির তীব্র প্রতিবাদ করলেন অভিষেক। আক্রমণ করলেন বিপ্লব দেবকে। বললেন, ‘ভেঙে দেব গুঁড়িয়ে দেব না, তৃণমূল সাজিয়ে দেওয়ার রাজনীতি করে।’
দুপুর ৩.৪০: ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবকে ‘নির্লজ্জ’ বলে কটাক্ষ অভিষেকের।
দুপুর ৩.৩০: ‘ত্রিপুরায় নৈরাজ্যের পরিবেশ। সন্ত্রাস চালাচ্ছে বিজেপি। দিনের আলোয় রাস্তায় বেরনো মুশকিল।’, সাংবাদিক বৈঠক থেকে তোপ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের।
দুপুর ৩.১৫: ধরনার চাপে তৃণমূলের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দেখা করতে রাজি অমিত শাহ। আশ্বাস স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রী নিত্যানন্দ রাইয়ের। সূত্রের খবর, সাংসদ কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়কে ফোন করে তিনি অমিত শাহর সঙ্গে সাক্ষাতের আশ্বাস দিয়েছেন। সাক্ষাতের সময় পরে জানানো হবে। তৃণমূল সূত্রে খবর, নির্দিষ্ট সময় না জানা পর্যন্ত ধরনা চলবে।
দুপুর ২.৪৭: ‘খেলা হবে’ বনাম ‘বিকাশ হবে’ – তৃণমূলের পালটা নতুন স্লোগান তুললেন বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। বললেন, ত্রিপুরায় বিকাশ হবে।
দুপুর ২.৩০: আগরতলায় ওরিয়েন্ট চৌমুহনীতে শুরু তৃণমূলের পথসভা। বক্তব্য রাখছেন ব্রাত্য বসু।
দুপুর ২.১৮: বিকেল সাড়ে ৩টে নাগাদ ত্রিপুরা ইস্যুতে কলকাতায় প্রতিবাদ মিছিল। নেতৃত্বে অরূপ বিশ্বাস। মিছিল শুরু রবীন্দ্রসদনে, শেষ গান্ধী মূর্তিতে।
দুপুর ২.১২: ”বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় গণতন্ত্রের কঙ্কাল বেরিয়ে পড়েছে। সায়নীর মতো শিল্পীকে জোর করে গ্রেপ্তার করা হল। ওর চিকিৎসাও করতে দেওয়া হচ্ছে না।” দিল্লি যাওয়ার আগে দমদম বিমানবন্দরে দাঁড়িয়ে ত্রিপুরা ইস্যুতে নিন্দায় মুখর মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কোথায় মানবাধিকার কোথায়? প্রশ্ন মমতার।
দুপুর ২.০৫: আদালতের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন আইনজীবীরা। সায়নীর জামিনের আবেদন করবেন তাঁরা।
দুপুর ২.০৩: আগরতলায় ফের উত্তেজনা। সায়নীর সঙ্গে দেখা করতে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের মহিলা থানায় ঢুকতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। থানার সামনে বিক্ষোভ দলীয় কর্মী-সমর্থকদের।
দুপুর ১.১২: দুপুর ২টোয় আদালতে পেশ করা হবে সায়নী ঘোষকে। তাঁর জামিনের আবেদন জানাবেন আইনজীবীরা।
দুপুর ১২.২৯: থানায় সায়নীর সঙ্গে দেখা করতে গেলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
দুপুর ১২.০৬: আইনজীবীদের নিয়ে পূর্ব আগরতলা মহিলা থানায় গেল তৃণমূল নেতৃত্ব। দলে রয়েছেন অর্পিতা ঘোষ, সুস্মিতা দেব, ছাত্রনেত্রী জয়া দত্ত।
বেলা ১১.৪০: দিল্লির নর্থ ব্লকে পৌঁছলেন তৃণমূল সাংসদরা। এখানেই অমিত শাহর দপ্তর। ত্রিপুরা ইস্যুতে এখানেই বিক্ষোভ প্রদর্শন সৌগত রায়, কল্যাণ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ও ব্রায়েন, মালা সাহাদের। অমিত শাহর অফিসের সামনে ধরনায় বসলেন তাঁরা।
বেলা ১১.২৯: ত্রিপুরায় সায়নী ঘোষকে গ্রেপ্তারির আঁচ কলকাতাতেও। রাজ্য বিজেপির সদর দপ্তর, মুরলীধর সেন লেনে বিক্ষোভে শামিল তৃণমূল কর্মী, সমর্থকরা। ব্যানার নিয়ে স্লোগান তুলে বিক্ষোভ। পালটা প্রতিরোধে নামল বিজেপিও। বাঁকুড়া, হুগলিতেও চলছে তৃণমূলের বিক্ষোভ।
বেলা ১১.১৪: দিল্লিতে অমিত শাহর বাড়ি ও দপ্তরের সামনে বিক্ষোভ দেখানোর পথে তৃণমূল। সাংসদ সৌগত রায়ের অভিযোগ, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাতের সময় না পাওয়ায় বিক্ষোভের সিদ্ধান্ত।
বেলা ১১: ত্রিপুরার পরিস্থিতি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে গৃহীত তৃণমূলের দায়ের করা মামলা। মঙ্গলবার শুনানি।
সকাল ১০.১৫: বোমাতঙ্কের মাঝেই আগরতলা বিমানবন্দরে নামলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা, রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে বিপ্লব দেব সরকারের উদ্দেশে আক্রমণ শানান তিনি। প্রশ্ন তোলেন, ”সায়নী কী করেছে যে ওকে গ্রেপ্তার করতে হবে?” তাঁর যাওয়ার আগেই বিমানবন্দরে ব্যাগ ঘিরে আতঙ্ক তৈরি নিয়ে তাঁর মন্তব্য, ”পুলিশ যা করার করছে। তবে তৃণমূলকে এভাবে আটকে রাখা যাবে না। আমরা কিছুতেই মাথা নত করব না।” সংবাদমাধ্যমের উপর হামলার ঘটনারও তীব্র নিন্দা করেন অভিষেক।
সকাল ৯.৪৬: আগরতলা বিমানবন্দরে অভিষেকের বিমান নামার আগে পরিত্যক্ত ব্যাগ ঘিরে আতঙ্ক। পুলিশ কুকুর দিয়ে তল্লাশি চলছে। নিরাপত্তা বাড়াতে ঘটনাস্থলে CISF, বম্ব স্কোয়াড। ব্রাত্য বসুর অভিযোগ, ভুয়ো আতঙ্ক ছড়ানোর চেষ্টা করছে সরকার। কিন্তু এভাবে তৃণমূলকে আটকানো যাবে না বলেও চ্যালেঞ্জ তাঁর।
সকাল ৯.৩৬: মিছিলে ‘না’ বললেও অভিষেকের পথসভার অনুমতি দিল ত্রিপুরা পুলিশ। আগরতলায় পথসভা করতে পারবেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। জানাল পুলিশ।
সকাল ৯.০৫: সায়নী ইস্যুতে বিপ্লব দেব সরকারের সমর্থনে সুর চড়ালেন সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ। প্রাতঃভ্রমণে গিয়ে বললেন, ”ওখানে গিয়ে ‘খেলা হবে’ স্লোগান তুললে ত্রিপুরা পুলিশ যা করেছে, সেটাই হবে। সেটাই ঠিক হয়েছে।”
সকাল ৯: আগরতলা রওনা হলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। ৯.৩০-র বিমানে যাবেন তিনি। রয়েছে সাংবাদিক বৈঠক, সভাও। পুলিশের অনুমতি নিয়ে এখনও টালবাহানা।
সকাল ৮.৩০: সোমবার সকালেই ত্রিপুরা রওনা দিলেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। উত্তর-পূর্বের রাজ্যে রাজনৈতিক লড়াইয়ে তৃণমূলের পাঁচ সেনাপতির মধ্যে অন্যতম তিনি। এই মুহূর্তে ত্রিপুরায় রয়েছেন দলের আরেক নেতা কুণাল ঘোষ। রয়েছে ছাত্র নেতৃত্বও। বিমানবন্দরে ব্রাত্য জানান, ওখানে ‘ফ্যাসিস্ট’ সরকার চলছে।
সকাল ৮: দলের যুবনেত্রী সায়নী ঘোষকে গ্রেপ্তারির প্রতিবাদ। ত্রিপুরায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপস্থিতিতে বড় কর্মসূচির পরিকল্পনা তৃণমূলের। আগরতলায় মিছিলে অনুমতি দিল না পুলিশ। কোভিডবিধির কারণ দেখিয়ে দেওয়া হল না অনুমতি। বাতিল বিজেপির কর্মসূচিও। জানালেন SDPO।