shono
Advertisement

TMC in Tripura: খুনের চেষ্টার অভিযোগ, আগরতলায় গ্রেপ্তার তৃণমূলের যুব সভাপতি সায়নী ঘোষ

সায়নীর গ্রেপ্তারির খবর পেয়ে আজই ত্রিপুরা যাচ্ছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
Posted: 04:14 PM Nov 21, 2021Updated: 05:05 PM Nov 21, 2021

সন্দীপ চক্রবর্তী: রাজনৈতিক অশান্তিতে আরও তপ্ত ত্রিপুরা (Tripura)। দিনভর পূর্ব আগরতলা থানায় বসিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের পর বিকেলে যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষকে (Saayoni Ghosh) গ্রেপ্তার করা হল। তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ, গাড়ি চাপা দিয়ে একজনকে খুনের চেষ্টা করেছিলেন তিনি। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩০৭, ১০২ বি, ১৫৩, ১৫৩ এ অর্থাৎ জামিন অযোগ্য ধারায় তাঁর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের হয়েছে বলে খবর।  তৃণমূলের মুখপাত্র কুণাল ঘোষের দাবি, রাজনৈতিক নির্দেশেই এই গ্রেপ্তারি। অর্থাৎ তিনি সরাসরি আঙুল তুললেন বিপ্লব দেব সরকারের দিকে। 

Advertisement

ঘটনার সূত্রপাত শনিবার রাতে। অভিযোগ, ভোটের প্রচার সেরে ফেরার পথে চৌমুহনীতে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের সভার উদ্দেশে তিনি ‘খেলা হবে’ স্লোগান দেন, মুখ্যমন্ত্রীর উদ্দেশে কটু মন্তব্যও করেন। পাশাপাশি  সায়নীর গাড়ি একজনকে চাপা দেয় বলেও অভিযোগ ওঠে। তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করাতে হয়। এরপর রাতেই সায়নীকে গ্রেপ্তার করার জন্য  পুলিশ যায় পোলো হোটেলে। এখানেই রয়েছেন সায়নী-সহ তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু রাতে পুলিশের কাছে আইনি নোটিস দাবি করেন তৃণমূল নেতারা।  সায়নীকে থানায় নিয়ে যেতে বাধা দেন কুণাল ঘোষ। 

[আরও পড়ুন: ‘তুমসে না হো পায়েগা’, মোদির সঙ্গে যোগীর ছবি দেখে খোঁচা বিরোধীদের]

কিন্তু রবিবার সকালে আগরতলা পূর্ব থানায় নিজেই যান সায়নী। তাঁর সঙ্গে ছিলেন কুণাল ঘোষ, সুস্মিতা দেব।  থানায় দিনভর জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তৃণমূলের (TMC) যুব সভানেত্রীকে।  তাঁরা থানায় থাকাকালীনই নতুন করে রাজনৈতিক অশান্তি শুরু হয় থানার বাইরে। তৃণমূল-বিজেপির সংঘর্ষে ২ তৃণমূল কর্মী আহত হন, তাঁদের হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের গাড়ি ভাঙচুর চলে। এর তীব্র নিন্দা করে টুইট করেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তিনি আজ রাতেই আগরতলার উদ্দেশে যাচ্ছেন অভিষেক।
 
.@BjpBiplab has become so UNABASHEDLY BRAZEN that now even SUPREME COURT ORDERS DOESN’T SEEM TO BOTHER HIM.

এসবের পর বিকেলের দিকে আগরতলা পূর্ব থানার পুলিশ সায়নী ঘোষকে গ্রেপ্তার করে। তাঁর বিরুদ্ধে ‘হিট অ্যান্ড রান’ বা গাড়ি চাপা দিয়ে খুনের চেষ্টার অভিযোগে ৩০৭ ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই গ্রেপ্তারিতে ব্যাপক ক্ষুব্ধ তৃণমূল নেতৃত্ব। কুণাল ঘোষ প্রশ্ন তোলেন, থানায় তাণ্ডবকারীদের কেন গ্রেপ্তার করা হল না? মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে সায়নীকে, প্রতিক্রিয়া রাজ্যসভার সাংসদ সুস্মিতা দেব। রাজ্যে অশান্তি সৃষ্টির কোনও চেষ্টাই বরদাস্ত করা হবে না বলে স্পষ্ট জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। আগামী ২৫ তারিখ আগরতলায় পুরভোট। তার ঠিক আগে রাজ্য যুব তৃণমূলের সভানেত্রীর গ্রেপ্তারি যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মত রাজনৈতিক মহলের। 
Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement