সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: কলকাতা হাই কোর্টের পরামর্শ মেনে তিন সপ্তাহ পুরভোট পিছিয়ে দিয়েছে রাজ্য নির্বাচন কমিশন। এই সিদ্ধান্তের জন্য আদালত এবং কমিশনকে ধন্যবাদ জানালেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee) । শনিবার সন্ধেয় টুইট করে ধন্যবাদ জানান তিনি। সেইসঙ্গে তিন সপ্তাহের মধ্যে বাংলার পজিটিভিটি রেট ৩ শতাংশের নিচে আনার লক্ষ্যমাত্রা বেঁধে দিলেন সাংসদ।
২২ জানুয়ারির বদলে রাজ্যে চার পুরনিগমে ভোট হবে আগামী ২২ ফেব্রুয়ারি। রাজ্যে সবুজ সংকেত পাওয়ার পরই নয়া বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে কমিশন। সেই সিদ্ধান্তকে ধন্যবাদ জানিয়ে টুইটারে অভিষেক লেখেন, “ভোট তিন সপ্তাহ পিছিয়ে দেওয়ার জন্য কলকাতা হাই কোর্ট এবং রাজ্য নির্বাচন কমিশনকে অনেক ধন্যবাদ। আগামী তিন সপ্তাহের মধ্যে রাজ্যের পজিটিভিটি রেট ৩ শতাংশের নিচে নামিয়ে আনতে হবে। এই লক্ষ্যপূরণে আমাদের ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।”
[আরও পড়ুন: COVID-19: উদ্বেগ বাড়িয়ে দেশে একদিনে সংক্রমিত ২.৬৮ লক্ষ, ওমিক্রন আক্রান্ত ৬ হাজার পার]
একইসঙ্গে তাঁর বার্তা, “করোনার বিরুদ্ধে লড়াইকে শক্তিশালী করে তোলাই এই মূহুর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।” তাঁর এহেন মন্তব্য যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল।
উল্লেখ্য, নিজের লোকসভা কেন্দ্র ডায়মন্ডহারবারের সংক্রমণকে বাগে আনতে প্রশাসনিক কর্তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেছিলেন সাংসদ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বৈঠক সেরে বেরিয়ে তাঁর বার্তা ছিল, “দু’মাসের জন্য ভোট-মেলা-খেলা সব বন্ধ রাখা দরকার। মানুষ বাঁচলে, আমরা বাঁচব। তবে এটা আমার ব্যক্তিগত মত।” নির্বাচন পিছনোর দাবিতে আদালতেও একাধিক মামলা হয়। সেই আবেদনের শুনানি শেষে ৪-৬ সপ্তাহের জন্য ভোট পিছনো যায় কিনা কমিশনকে তা ভেবে দেখার নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।
[আরও পড়ুন: রেল লাইনে রাখা সিমেন্টের পিলারের সঙ্গে সংঘর্ষ রাজধানী এক্সপ্রেসের, অল্পের জন্য রক্ষা]
প্রসঙ্গত, আগামী ২২ জানুয়ারি বিধাননগর, শিলিগুড়ি, আসানসোল ও চন্দননগর – এই চার পুরসভার ভোট হওয়ার কথা। সেই অনুযায়ী মনোনয়ন জমা, প্রচার চলছিল জোরকদমে। এর মাঝেই রাজ্যজুড়ে ফের অতিমারীর আকার নেয় করোনা। হু হু করে বাড়তে শুরু করে কোভিড-১৯ আক্রান্তের সংখ্যা। সংক্রমণের শৃঙ্খল ভাঙতে রাজ্যজুড়ে কড়া বিধিনিষেধ জারি করে রাজ্য। এমন পরিস্থিতিতে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার আরজি জানিয়ে কলকাতা হাই কোর্টে একাধিক মামলা হয়। শুক্রবার সেই শুনানিতে কমিশনকে সিদ্ধান্ত নিতে নির্দেশ দেয় হাই কোর্ট।