সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সিবিআই, ইডি’র মতো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে কাজে লাগিয়ে ঘাসফুল শিবিরকে পর্যুদস্ত করার চেষ্টা করছে কেন্দ্রীয় সরকার। বারবার তৃণমূল নেতা-মন্ত্রীদের গলায় এই অভিযোগের সুর শোনা গিয়েছে। বুধবার শহিদ মিনারের সভামঞ্চ থেকে আরও একবার সেই অভিযোগই করলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তাঁর দাবি, সারদা কাণ্ডে ধৃত কুণাল ঘোষ এবং মদন মিত্রকে একসময় অভিষেকের নাম বলতে জোর করা হয়। বললেই তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হবে বলেও শর্ত দেওয়া হয়।
অভিষেকের কথায়, “মদনদা জেলে ছিলেন। কুণাল ঘোষও ছিলেন। এঁদের বলেছিল আমার নাম নাও ছেড়ে দেব। আমার জন্য আলাদা আইন করার দরকার নেই। যদি প্রমাণ করতে পারে আমি দুর্নীতিতে যুক্ত তাহলে যাই হোক, যে ইস্যুতেই হোক শহিদ মিনারের মঞ্চে ফাঁসি বরণ করব।” এদিনের সভামঞ্চে দাঁড়িয়ে এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে ধৃত এজেন্ট প্রসন্ন রায়ের বাড়ি থেকে দিলীপ ঘোষের জমির দলিল উদ্ধারের ঘটনাকে টেনে আনেন অভিষেক। আর সেই যুক্তিতে দিলীপকে গ্রেপ্তারির দাবিও জানান তিনি। বলেন, “আমরা চাই অন্যায় করে থাকলে শাস্তি হোক। কিন্তু পিক অ্যান্ড চুজ হবে না। দিলীপ ঘোষকে কেন ধরা হবে না? বিজেপি করে তাই? আমি তৃণমূল করি তাই আইন আলাদা? বিজেপি করলে আইন আলাদা আর তৃণমূল করলে আইন আলাদা?”
[আরও পড়ুন: SSC মামলায় সুপ্রিম কোর্টে বিচারপতি গঙ্গোপাধ্যায়কে তোপ, সরব চাকরিহারাদের আইনজীবী]
কেন্দ্রের বিরুদ্ধে সিবিআইকে কাজে লাগানোর অভিযোগে সুর চড়িয়ে অভিষেক আরও বলেন, “২২ মাসে ২১টা কেস সিবিআই দিয়েছে। তার কারণ যে করে হোক এদের দুর্বল করতে হবে। সরকারিভাবে আর সাংগঠনিকভাবে। যাদের নামে মিথ্যে মামলা হবে সরাসরি এক ডাকে অভিষেক ফোন করে জানাবেন। আমি পাশে গিয়ে দাঁড়াব।” কর্মীদের উপর অত্যাচার হলে কাউকে রেয়াত করবেন না বলেও হুঁশিয়ারি অভিষেকের।