ভাস্কর মুখোপাধ্যায়, বোলপুর: রাজ্যের কোভিড গ্রাফ ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। প্রায় প্রতিদিনই হু হু করে বাড়ছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে ফের রাজ্যে জারি কড়া বিধিনিষেধ। স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়-সহ সমস্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত নবান্নের। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ নিয়ে মুখ খুলে বিতর্কে জড়ালেন বীরভূমের জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল (Anubrata Mandal)
রবিবার বোলপুরের তৃণমূল জেলা কমিটির বৈঠক ছিল। তাতেই অংশ নেন অনুব্রত মণ্ডল। করোনা বাড়বাড়ন্ত নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে রাজ্যের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ প্রসঙ্গে মুখ খোলেন তিনি। দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা বলেন, “রাজ্যকে বাঁচাতে গেলে এটা করতেই হত। কিছুই করার নেই। বাচ্চা ছেলেদের কোভিড হয়ে গেলে আরও মুশকিল হবে। তবে এতে শিক্ষা ফিক্ষা সমস্ত কিছু ডকে উঠে যাবে। বাড়িতে বসে পড়াশোনা হয় না। স্কুলে যে জিনিসটা হয়, সেটা কি আর বাড়িতে বসে হয়?”
[আরও পড়ুন: COVID-19 Update: রাজ্যের চিকিৎসক মহলে করোনার থাবা, উদ্বিগ্ন স্বাস্থ্যভবন]
করোনার জেরে ২০২০ সাল থেকে বারবারই থাবা বসছে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। কচিকাঁচারা যেতে পারছে না স্কুলে। বাধ্য হয়ে অনলাইনে পড়াশোনা করতে হচ্ছে পড়ুয়াদের। নবান্নের বর্তমান নির্দেশিকা অনুযায়ী, ফের তালা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে। স্কুল, কলেজ, বিশ্ববিদ্যালয় আগামী ১৫ জানুয়ারি পর্যন্ত বন্ধ। তবে কারও কারও প্রশ্ন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকলেও গঙ্গাসাগর মেলার ক্ষেত্রে এখনও কোনও বিধিনিষেধ কেন জারি হল না? আর তা নিয়ে সকলের মনে ক্ষোভের অন্ত নেই। এই পরিস্থিতিতে বীরভূমের তৃণমূল নেতা অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্যে স্বাভাবিকভাবেই বিতর্ক দানা বেঁধেছে।
অনুব্রত মণ্ডলের মন্তব্যকে হাতিয়ার করেই আসরে নেমেছেন বিরোধীরা। তাঁদের দাবি, সত্যি কথাই নাকি বলে ফেলেছেন অনুব্রত মণ্ডল। তবে তৃণমূল নেতাদের একাংশের দাবি, গ্রামাঞ্চলের পড়ুয়াদের অনলাইনে ক্লাস করতে নানা সমস্যার মুখোমুখি হতে হয়। তাদের কথা বোঝাতে গিয়েই এমন মন্তব্য করেছেন অনুব্রত মণ্ডল।