সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিয়ের তত্ত্ব মানেই অভিনবত্ব। কখনও নিত্যনতুন সামগ্রীর ডালি থাকে তত্ত্বে, তো কখনও সাজানোর মধ্যে থাকে অভিনবত্ব। কিন্তু তত্ত্বে সরকারি প্রকল্প, এমন কথা কেউ কখনও শুনেছেন? গল্পকথা নয়, হাতেকলমে এমনটাই করে দেখিয়েছেন এক নদিয়ার এক তৃণমূল নেত্রী। ছেলের হবু বউয়ের বাড়িতে পাঠিয়েছেন সরকারি প্রকল্প নামাঙ্কিত তত্ত্ব। কী নেই সেখানে?
বুধবার অর্থাৎ ২ ফেব্রুয়ারি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হচ্ছেন প্রবীর চক্রবর্তী এবং কৃষ্ণনগরের ইশিতা। প্রবীর যুব রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। নদিয়ার যুব তৃণমূলের সক্রিয় সদস্য তিনি। তাঁর মা মণিকা চক্রবর্তী নবদ্বীপ পুরসভার ১০ নম্বর ওয়ার্ডের কো অর্ডিনেটর। আবার শহর তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রীও বটে। ২৭ বছর ধরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত রয়েছেন তিনি। চক্রবর্তী পরিবারের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িয়ে রাজনীতি। এমন পরিবারের বিয়ে রাজনীতিমুক্ত হবে, তা আবার হয় নাকি?
[আরও পড়ুন: বাংলায় একদিনে করোনা আক্রান্ত ২৭২৩, সামান্য বাড়ল মৃত্যু]
কন্যাশ্রী নামাঙ্কিত ডালায় রয়েছে বিভিন্ন সাজগোজের সামগ্রী। রূপশ্রী ডালায় রয়েছে কনের সাজের সরঞ্জাম- সিঁদুর, আলতা। সবুজ সাথীর সাইকেলের মতোই তত্ত্বে রয়েছে সাইকেল। লক্ষ্মীর ভাণ্ডার নামক ডালায় রয়েছে সিঁদুর, লক্ষ্মীর মূর্তি, তৃণমূলের প্রতীক এবং ৫০০ টাকা। আবার স্বাস্থ্যসাথীতে রয়েছেন সাবান, স্যানিটাইজার, তুলো ও বিভিন্ন ওষুধ।
[আরও পড়ুন: বাংলায় একদিনে করোনা আক্রান্ত ২৭২৩, সামান্য বাড়ল মৃত্যু]
অভিনব তত্ত্ব প্রসঙ্গে মণিকা চক্রবর্তী বলছেন, “মুখ্যমন্ত্রী আমাদের অনুপ্রেরণা। সুখে-দুঃখে জাত-ধর্ম নির্বিশেষে মানুষের পাশে দাঁড়ান তিনি। ওঁর এধরনের প্রকল্পে সকলে সুবিধা পাচ্ছেন। তাই এমন আনন্দের দিনে তাঁর প্রকল্প সকলের কাছে পৌঁছে দেওয়ার চেষ্টা করলাম।”