সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: আর জি করে মহিলা চিকিৎসককে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় ধর্ষককে গুলি করে মেরে ফেলার বার্তা দিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সুরই এবার শোনা গেল তৃণমূলের আর এক সাংসদ দেবের গলায়। জয়নগরে নাবালিকাকে ধর্ষণ ও খুনের ঘটনায় শনিবার সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে দেব জানালেন, ধর্ষকদের গুলি করে মারা উচিৎ। মানুষের করের টাকায় এদের বাঁচিয়ে রাখার দরকার নেই।
জয়নগরের মহিষমারির কৃপাখালির বাসিন্দা চতুর্থ শ্রেণির এক পড়ুয়ার মৃতদেহ উদ্ধার হয় জলাভুমি থেকে। নাবালিকা বাড়ি না ফেরায় থানায় অভিযোগ জানাতে গিয়েছিলেন মৃতের বাবা। পরিবারের অভিযোগ পুলিশ অভিযোগ না নিয়ে তাঁদের ফিরিয়ে দেয়। এর পর বালিকার দেহ উদ্ধার হতেই রণক্ষেত্র হয়ে ওঠে জয়নগর। মহিষমারির পুলিশ ক্যাম্পে আগুন ধরিয়ে দেয় উত্তেজিত জনতা। অভিযোগ, ধর্ষণ করে খুন করা হয়েছে ওই নাবালিকাকে। তাঁর শরীরে মিলেছে একাধিক ক্ষতচিহ্ন। ঘটনার তদন্তে নেমে ১৯ বছরের এক যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এই প্রেক্ষিতেই এবার এনকাউন্টারের পক্ষে সওয়াল করলেন ঘাটালের সাংসদ।
শনিবার বারুইপুরে নিজের ছবির প্রচারে এসেছিলেন দেব। সেখানেই জয়নগর ইস্যুতে সংবাদ মাধ্যমের প্রশ্নের মুখে পড়ে তৃণমূল সাংসদ বলেন, "এ রকম নিন্দনীয় ঘটনায় আমাদের সম্মিলিত ভাবে প্রতিবাদ করা উচিত। এমন কঠোর আইন আনতে হবে... আমি তো বলছি, ‘শুট অ্যাট সাইট’ করে দাও ভাই! এই রকম লোককে যদি চিহ্নিত করা যায়, তারা যদি ধরা পড়ে, দোষ প্রমাণিত হয়, তাহলে তাদের তোমার-আমার ট্যাক্সের টাকা দিয়ে বাঁচিয়ে লাভ নেই।" পাশাপাশি দেব এটাও বলেন, "আমি একজন সাংসদ। নিয়ম অনুযায়ী এমন শব্দ আমি ব্যবহার করতে পারি না। দেশের আইন আছে। আমাদের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা অনেক ভাল। কিন্তু তা-ও আমারা মা-বোনেদের বাঁচাতে পারছি না! তাই এমন আইন আনতে হবে যাতে এই মানসিকতার মানুষের মনে ভয় থাকে। এদের পিছনে সরকারি টাকা খরচ না করে এমন শাস্তি দিতে হবে যাতে অন্যদের মনে ভয় থাকে।"
উল্লেখ্য, আর জি কর কাণ্ডের পর ঠিক একই রকমভাবে ধর্ষকের এনকাউন্টারের পক্ষে সওয়াল করেছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, "এই ধরনের ঘটনা যারা ঘটায় তাদের সমাজে থাকার অধিকার নেই। আপনারা কি মনে করেন, যারা এই ঘটনা ঘটাল তার বেঁচে থাকার অধিকার আছে? সাত দিনের মধ্যে আইন করে এনকাউন্টার করে মারা উচিত দোষীকে।" শুধু তাই নয়, কড়া আইনের লক্ষ্যে রাজ্য বিধানসভায় ‘অপরাজিতা’ বিল পাস করে তৃণমূল সরকার। যেখানে ধর্ষণ কাণ্ডে দ্রুত বিচার ও ফাঁসির সাজার বিধান দেওয়া হয়।