ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: গুরুতর অসুস্থ মুকুল রায়। স্নায়ুজনিত সমস্যায় দীর্ঘদিন ধরে সমস্যায় ভুগছেন তিনি। রবিবার রাতে বাড়াবাড়ি হওয়ায় বাইপাসের ধারে এক বেসরকারি হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে তাঁকে। আপাতত স্থিতিশীল তৃণমূল নেতা। তবে কয়েকটা দিন হাসপাতালে থাকতে হবে তাঁকে।
দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ মুকুল রায়। স্নায়ুজনিত সমস্যায় ভুগছেন তিনি। গত শুক্রবার চেক আপ করাতে হাসপাতালে গিয়েছিলেন। প্রাথমিক পরীক্ষার পর বাড়ি ফিরে গিয়েছিলেন প্রবীণ নেতা। তারপর রবিবার ফের অসুস্থ হন তিনি। এরপরই তড়িঘড়ি তাঁকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়।
[আরও পড়ুন: প্রেমে পড়ে ছাত্রীকে বিয়ে গোপাল ‘কাকু’র, হৈমন্তীর জন্যই কি বিচ্ছেদ? উঠছে প্রশ্ন]
কাঁচড়াপাড়ার থেকে সল্টলেকের বাড়িতে যাতায়াত করেন রোজই। শুভানুধ্যায়ীরা দেখা করতে আসেন তাঁর সঙ্গে। মাঝে তৃণমূল ভবনেও ঘুরে এসেছেন একবার। তবে সাপোর্ট ছাড়া চলাফেরা একেবারেই করতে পারেন না মুকুল রায়। তাঁর খাবার পরিমিত। দেখভালের জন্য সবসময় লোক থাকে সঙ্গে।
যদিও কৃষ্ণনগর উত্তরের বিধায়কের ঘনিষ্ঠ সূত্রে খবর, পরিকল্পনামাফিকই রায়সাহেবকে হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। তাঁর মাথায় জল জমেছে বলে সূত্রের দাবি। সেই চিকিৎসার স্বার্থেই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন মুকুল রায়। স্থিতিশীল হলেও আপাতত চিকিৎসকদেক পর্যবেক্ষণেই থাকতে হবে তাঁকে। ইতিপূর্বে অসুস্থতার জেরে বিধানসভার পাবলিক অ্য়াকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানের পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছিলেন তিনি।
২০২১ সালে বিধানসভা ভোটে বিজেপির টিকিটে জয়ের পর মুকুল রায়কে পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটির চেয়ারম্যানের পদ দেওয়া হয়। সাধারণত এই পদটি বিরোধীদেরই থাকে। সেই হিসেবেই কৃষ্ণনগর উত্তর কেন্দ্র থেকে জয়ের পর তাঁর মতো অভিজ্ঞ রাজনীতিককে বসানো হয় এই পদে। তবে তারপর মুকুল রায়ের রাজনৈতিক কেরিয়ার বেশ কিছু পরিবর্তনের মধ্যে দিয়ে গিয়েছে। ২০২১ সালে ভোটে জেতার পর ফের পুরনো দলের সঙ্গে সখ্য তৈরি হয় তাঁর। পুত্র শুভ্রাংশু রায়-সহ তৃণমূলে ফেরেন তিনি।