অর্ণব আইচ: উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদের মৎস্য কর্মাধ্যক্ষ তিনি। সন্দেশখালির দাপুটে তৃণমূল নেতা। একজন রাজনীতিক বলেই কি তাঁর সরবেড়িয়ার বাড়িতে দফায় দফায় হানা, নোটিস দিয়ে তলব? তৃণমূলের আর পাঁচজন নেতা-মন্ত্রীর মতো এবার একই সুর ‘ফেরার’ শেখ শাহজাহানের গলায়। আইনজীবী সব্যসাচী বন্দ্যোপাধ্যায়ের মাধ্যমে তিনি আদালতে জানান, “একজন রাজনীতিক বলে উইচহান্ট চলছে।” পর্যাপ্ত প্রমাণ ছাড়াই তাঁকে ফাঁসানো হচ্ছে বলেই দাবি।
গত ৫ জানুয়ারি শেখ শাহজাহানের(Shahjahan Sheikh) বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে জখম হয় ইডি। সেই সময় ইডি একাধিকবার শাহজাহানের দুটি মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করার চেষ্টা করে। একটি নম্বর দীর্ঘক্ষণ ব্যস্ত ছিল। আরেকটি নম্বরে ফোন ধরেন। ইডির কথা শুনেই ফোন কেটে দেয় সে। এর পর গত ২৪ জানুয়ারি ইডি আবার শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি চালায়। তল্লাশিতে তেমন গুরুত্বপূর্ণ নথিপত্র বা সামগ্রী ইডি পায়নি বলেই দাবি শাহজাহানের আইনজীবীর। ওইদিনই হাজিরার নোটিস দেয় ইডি। হাজিরা না দিয়েই আদালতে আগাম জামিনের আবেদন জানান শাহজাহান। তাঁর আইনজীবীর দাবি, সমন না পাঠিয়ে লুকআউট নোটিস জারির ফলে গ্রেপ্তারির আশঙ্কা করছেন শাহজাহান। সে কারণেই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন।
[আরও পড়ুন: আড়ালে বসে ষড়যন্ত্র, ‘পিকচারে’ না থেকেও নিয়োগ দুর্নীতির মূল মাথা পার্থই! বিস্ফোরক CBI]
আইনজীবী মারফৎ শাহজাহানের দাবি, গত ১৬ ডিসেম্বর জ্যোতিপ্রিয় মল্লিকের কাছ থেকে একটি চিঠি পায় ইডি। তিনদিন পর বয়ান নেওয়া হয়। তার পর ৫ জানুয়ারি শাহজাহানের বাড়িতে তল্লাশি। কেন তার মাঝে ডেকে বয়ান নিল না ইডি, সে প্রশ্ন তুলেছেন শাহজাহান। রেশন দুর্নীতি মামলায় ধৃত শেখ শাহজাহানের নাম ইডির এফআইআর কিংবা চার্জশিটের কোথাও নেই বলেও দাবি তাঁর আইনজীবীর। পিএমএলএ-র ১৭ নম্বর ধারায় অভিযোগ দায়ের হয় শাহজাহানের বিরুদ্ধে। শাহজাহান আইনজীবীর মাধ্যমে জানান, “আমি রাজনীতিক বলে এটা করা হয়েছে। এটা উইচহান্ট। আমার বিরুদ্ধে অভিযোগ ফ্রেম করা হচ্ছে।” আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি এই মামলার পরবর্তী শুনানি।