shono
Advertisement

তৃণমূলের ছাত্রনেতাকে ‘খুন’, অভিযোগ নেয়নি পুলিশ! শংকরের বিরুদ্ধে বিস্ফোরক মৃতের পরিবার

কী বলছেন বৈরাগী পরিবারের সদস্যরা?
Posted: 05:06 PM Jan 07, 2024Updated: 05:06 PM Jan 07, 2024

জ্যোতি চক্রবর্তী, বনগাঁ: শংকর আঢ্য গ্রেপ্তার হতেই ফের আলোচনায় হিমাংশু বৈরাগী। ইডির হাতে গ্রেপ্তার হয়েছেন প্রাক্তন চেয়ারম্যান শংকর। এবার কি ছেলের মৃত্যুর সুবিচার মিলবে? আশায় বুক বাঁধছে বৈরাগী পরিবার।

Advertisement

ঘটনাটি ২০১৪ সালের ৯ মার্চের। বনগাঁর কোরারবাগান এলাকায় নিজের বাড়ির সামনে খুন হয়েছিলেন তৃণমূলের ছাত্র নেতা হিমাংশু বৈরাগী ওরফে হিমু৷ হিমাংশুর পরিবারের দাবি, ঘটনার পর শংকর আঢ্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ নিতে অস্বীকার করে পুলিশ৷ পরবর্তীতে পুলিশের বিরুদ্ধে অসহযোগিতা, খুনের সাক্ষী লোপাটের অভিযোগ আনে হিমাংশুর পরিবার৷ হিমাংশুর পরিবার ব্যাঙ্কশাল আদালতে মামলা দায়ের করে। এই মামলায় প্রাক্তন পুরপ্রধান শংকর আঢ্য, কাউন্সিলর অভিজিৎ কাপুরিয়া-সহ পাঁচ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়৷ হিমাংশুর বাবার অভিযোগ, এর পর বারবার হুমকির মুখে পড়তে হয়েছে তাঁদের৷ সেই মামলা এখনও চলছে।

[আরও পড়ুন: মোদির লাক্ষাদ্বীপ সফর নিয়ে বিতর্কে মালদ্বীপ! ভারতীয়দের ‘উপহাস’ মুইজ্জুর দলের নেতার]

এত বছর পর শংকর গ্রেপ্তারের খবরে চোখে জল হিমাংশু বৈরাগীর বৃদ্ধা ঠাকুমা বীণাপাণি বৈরাগীর। তিনি বলেন, তিনি খুশি। তাঁর কথায়, “পাপ বাপকেও ছাড়ে না। যে পাপ করেছে তাঁকে শাস্তি পেতেই হবে। ওই হিমাংশুকে খুন করিয়েছে৷” হিমাংশুর বাবা রাকেশ বৈরাগী বলেন, “২০১১ সালে শংকর আঢ্যের স্ত্রী জোৎস্না আঢ্য ছিলেন বনগাঁ পুরসভার চেয়ারম্যান। তাঁর বিরুদ্ধে অনাস্থা আনতে চেয়েছিল তৃণমূলের আরেক কাউন্সিলর শম্ভু দাস। শম্ভু দাসের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক ছিল হিমাংশুর। সেই আক্রোশ থেকেই হিমাংশুকে খুন করান।” বৈরাগী পরিবারের আশা এবার শাস্তি পাবেন শংকর।

[আরও পড়ুন: ‘ছেলে ততদিনই নিজের থাকে যতদিন বউমা না আসে’, বলছেন দেশের ‘হবু প্রধান বিচারপতি’]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement