বিধান নস্কর, সল্টলেক: ৩৩ দিন পরেও অধরা শেখ শাহজাহান। কোথায় রয়েছেন সন্দেশখালির ‘বেতাজ বাদশা’, ধোঁয়াশায় তদন্তকারীরা। তারই মাঝে ইডি দপ্তরে তৃণমূল নেতার আইনজীবী। তাঁর দাবি, কোনও কথাই শোনেননি ইডির আধিকারিকরা।
রেশন বন্টন দুর্নীতি মামলায় ইডির নজরে সন্দেশখালির তৃণমূল নেতা শাহজাহান শেখ। গত ৫ জানুয়ারি তাঁর বাড়িতে যান কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আধিকারিকরা। ওই দিনই আক্রান্ত হন ইডির তিন আধিকারিক। এর পর গত ২৪ জানুয়ারি, উত্তর ২৪ পরগনায় সন্দেশখালির সরবেড়িয়ায় শাহজাহানের বাড়ির তালা ভেঙে ইডি তল্লাশি চালায়। সেদিনই বাড়ির দরজায় নোটিস দিয়ে তাঁকে গত ২৯ জানুয়ারি সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে তলব করা হয়। যদিও সেদিন তিনি যাননি। আইনজীবী কিংবা কোনও পরিচিতর মাধ্যমে ইডির সঙ্গে যোগাযোগও করেননি শাহজাহান।
[আরও পড়ুন: দার্জিলিংয়ের মহিলাকে লাগাতার ধর্ষণ, গরম ডাল ঢেলে সপ্তাহভর শারীরিক অত্যাচার ‘বন্ধু’র!]
সম্প্রতি তাঁকে মেল পাঠায় ইডি। বুধবার তাঁকে হাজিরা দিতে বলা হয়। দ্বিতীয়বারও তলব এড়ান শাহজাহান। নির্ধারিত সময়ে সিজিও কমপ্লেক্সে তৃণমূল নেতার দেখা পাওয়া যায়নি। বিকেল সাড়ে চারটে নাগাদ ইডি দপ্তরে যান শাহজাহানের আইনজীবী। হাতে একটি খাম। শাহজাহানের লেখা চিঠি হাতে তিনি ইডি দপ্তরে যান বলেই খবর। এখনও শেখ শাহজাহানের জামিনের আবেদন সংক্রান্ত মামলার কোনও নিষ্পত্তি হয়নি। সূত্রের খবর, সে কারণে হাজিরার জন্য তাঁর আইনজীবী কিছুটা সময় চাইতে যান। আইনজীবীর দাবি, কোনও কথা শোনেননি আধিকারিকরা।
এদিকে, সন্দেশখালি কাণ্ডে সিট গঠনের নির্দেশে স্থগিতাদেশ কলকাতা হাই কোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের। রাজ্য পুলিশের তদন্তেও স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। বুধবার আদালতে রাজ্য পুলিশের বিরুদ্ধে তথ্য নষ্টের আশঙ্কা প্রকাশ করে ইডি। এর পরই সিট গঠন ও রাজ্য পুলিশের তদন্তে স্থগিতাদেশ দিয়েছে আদালত। আবার এদিন আদালতে ফের সিবিআই তদন্তের দাবি জানায় ইডি।