ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: রবিবার গভীর রাতে এসএসকেএম-এ (SSKM) ভরতি হলেন ত্রিপুরায় আহত তৃণমূলের যুবনেতা সুদীপ রাহা (Sudip Raha) ও জয়া দত্ত। ইতিমধ্যেই সুদীপের এমআরআই ও সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। বিশেষ পর্ষবেক্ষণে রয়েছেন তিনি। চিকিৎসা চলছে জয়ারও। সূত্রের খবর, চিকিৎসার পর ফের ত্রিপুরা যাবেন সুদীপ রাহা ও দেবাংশু ভট্টাচার্য।
শনিবার ৮টি জোনের দায়িত্বপ্রাপ্ত তৃণমূল যুবনেতাকে আক্রমণের ঘটনায় উত্তপ্ত হয়ে উঠেছিল ত্রিপুরা (Tripura)। সোনামুড়া এলাকায় ছাত্রনেতা সুদীপ রাহার গাড়িতে ইট ছোঁড়া হয়। মাথা ফাটে তাঁর। আক্রান্ত হন দুই ছাত্রনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য ও জয়া দত্তও। জয়ার কানে চোট লাগায় তিনি রক্তাক্ত হন। মুখে কাচের টুকরো ঢুকে যায়। এরপরও পরিস্থিতি শান্ত হয়নি। দফায় দফায় অশান্তি চলে। রবিবার ভোর রাতে সুদীপ, জয়া, দেবাংশু-সহ ১৪ জন ছাত্র নেতাকে গ্রেপ্তার করে ত্রিপুরার পুলিশ। সকালে ত্রিপুরার খোয়াই থানায় পৌঁছন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee), কুণাল ঘোষরা। পুলিশের সঙ্গে বচসায় জড়িয়ে পড়েন তাঁরা। অভিযোগ করেন, ত্রিপুরায় ন্যূনতম কোনও চিকিৎসা পাননি আহত ছাত্রনেতারা। এই পরিস্থিতিতে থানায় ফের জ্ঞান হারান সুদীপ রাহা। পরবর্তীতে রবিবার বিকেলে খোয়াই আদালত জামিন দেয় ধৃতদের। রাত সাড়ে এগারোটা নাগাদ জখম নেতাদের নিয়ে কলকাতায় ফেরেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: Arjun Singh-এর গড়ে BJP-তে বড়সড় ভাঙন, তৃণমূলে যোগ বিদায়ী কাউন্সিলর-সহ বহু নেতা-কর্মীর]
জানা গিয়েছে, রবিবার রাতেই এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে সুদীপ রাহা ও জয়া দত্তকে। দেবাংশুকে প্রাথমিক চিকিৎসার পর ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। বর্তমানে উডবার্ন ওয়ার্ডের ১০৩ নম্বর কেবিনে ভরতি রয়েছেন সুদীপ। ইতিমধ্যেই তাঁর এমআরআই ও সিটি স্ক্যান করা হয়েছে। জয়া দত্ত ভরতি রয়েছেন উডবার্ন ওয়ার্ডের ২০৩ নম্বর ওয়ার্ডে। উল্লেখ্য, এখনও ত্রিপুরাতেই রয়েছেন কুণাল ঘোষ ও সমীর চক্রবর্তী। বেলা ১ টায় সেখানে সাংবাদিক বৈঠক করবেন কুণাল ঘোষ।