শাহাজাদ হোসেন, ফরাক্কা: পেরিয়ে গিয়েছে প্রায় আড়াই মাস। এতগুলো দিন কেটেছে হাসপাতালেই। তবে এখন অনেকটাই সুস্থ রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন। শুক্রবার দুপুরে জঙ্গিপুরে ফিরবেন তিনি। আগামিকাল ভোর সাড়ে চারটেয় কলকাতার পিজি হাসপাতাল থেকে অ্যাম্বুল্যান্সে নিজের গড় জঙ্গিপুরে ‘জনতার দরবারে’ যাবেন। রঘুনাথগঞ্জের বাড়িতে কিছুক্ষণ স্থানীয় নেতৃত্ব ও শুভানুধ্যায়ীদের সঙ্গে সময় কাটিয়ে বিকেলে যাবেন সুতির অরঙ্গাবাদের বাড়িতে।
ঘটনার সূত্রপাত ১৭ ফেব্রুয়ারি। ওইদিন রাতে নিমতিতা স্টেশনে বোমা বিস্ফোরণে গুরুতর আহত হন জাকির হোসেন সহ-২৭ জন। বিস্ফোরণে মন্ত্রীর বাঁ পা মারাত্মকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। সেদিন ভোররাতেই জাকিরকে ভরতি করা হয় এসএসকেএমে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় কিছুদিন থাকার পর ধীরে ধীরে তাঁর অবস্থার উন্নতি হয়। সেই থেকেই চলছে চিকিৎসা। ভোটে দাঁড়ালেও একটি দিনের জন্যও প্রচারে বের হতে পারেননি। কোনওক্রমে অ্যাম্বুল্যান্সে এসে জমা দিয়েছিলেন মনোনয়নপত্র।তারপর ফের হাসপাতালে ফিরে যান। যদিও ওই আসনের নির্বাচন পিছিয়েছে।
[আরও পড়ুন: শীতলকুচি কাণ্ডের জের! সাসপেন্ড কোচবিহারের পুলিশ সুপার]
জানা গিয়েছে, জাকির হোসেনকে পরানো হয়েছে এক বিশেষ ধরনের সার্জিক্যাল জুতো। যার ওজন প্রায় আট থেকে দশ কেজি। যদিও এখনও তাতে স্বাভাবিক ভাবে চলা ফেরা করতে পারবেন না। করোনা পরিস্থিতিতে চিকিৎসকরা বিধিনিষেধ মেনে চলার নির্দেশ দিয়েছেন তাঁকে। জাকির ঘনিষ্ঠ বিধায়ক আখরুজ্জামান জানান, অনেকটাই সুস্থ এখন জাকির। তবে চলা ফেরা স্বাভাবিক হতে সময় লাগবে। মুর্শিদাবাদের বাড়ি ফিরলেও চিকিৎসকদের নজরদারিতে থাকতে হবে তাঁকে।
জাকিরের রাজনৈতিক সহকর্মী ও জঙ্গিপুরে তাঁর নির্বাচনী পরিচালক মন্টু রহমান বলছেন, “যেভাবে বিস্ফোরণে ক্ষতি হয়েছিল পায়ের তাতে আরও বড় কিছু ঘটতে পারত। কিন্তু মুখ্যমন্ত্রীর তদারকি ও চিকিৎসকদের তৎপরতায় বিপদ কাটানো গিয়েছে। আড়াই মাস পর বাড়ি ফিরছেন। তবে বাড়ি থেকে বেরনো নিষিদ্ধ। মেলামেশাও করতে হবে দূরত্ব বিধি মেনে।” বাংলায় তৃণমূলের ফল নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই উচ্ছ্বসিত প্রাক্তন মন্ত্রী জাকির হোসেন। তিনি বলেন, “বাংলার মানুষের আশীর্বাদ নিয়ে বাংলার মা মমতা বন্দোপাধ্যায় তৃতীয় বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হলেন। গর্বিত বোধ করছি।”