কৃষ্ণকুমার দাস: জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অফিসের সামনে তৃণমূল নেতৃত্বকে হেনস্তা দিল্লি পুলিশের। তৃণমূল সাংসদের টেনে হিঁচড়ে বাসে তোলা ও আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার প্রতিবাদে এবার রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদের উপর পুলিশের ন্যক্কারজনক আক্রমণের বিরোধিতায় সোমবার রাতেই রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সাক্ষাৎ চেয়েছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজভবন সূত্রে খবর, রাত ৯টায় অভিষেকের নেতৃত্বাধীন ১২ সদস্যের তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে সময় দিয়েছেন রাজ্যপাল।
ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ডে ২ তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে এনআইএ। এই ঘটনায় বিজেপি ও কেন্দ্রীয় এজেন্সির আঁতাঁতের অভিযোগ তুলে সরব হয়েছে তৃণমূল। এনআইএ, সিবিআই, ইডি এবং আয়কর দপ্তরের ডিরেক্টরদের বদলের দাবিতে সোমবার বিকেলে দিল্লিতে জাতীয় নির্বাচন কমিশনের সামনে ধরনায় বসেন তৃণমূলের ১০ সদস্য। কথা ছিল ২৪ ঘণ্টার জন্য তাঁরা শান্তিপূর্ণ ধরনা দেবেন। তবে ধরনায় বসার মিনিট পনেরোর মধ্যে দিল্লি পুলিশ সেখানে হাজির হয়। অভিযোগ, তৃণমূল সাংসদদের টেনে হিঁচড়ে সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয় সেখান থেকে। আটক করা হয় সাংসদদের। বাসে চাপিয়ে তাঁদের মন্দিরমার্গ থানায় নিয়ে যায় দিল্লি পুলিশ। শান্তিপূর্ণ প্রতিবাদে পুলিশি জুলুমের বিরোধিতায় সোমবার রাতেই রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছেন অভিষেক। সূত্রের খবর, অনুমোদন মিললেই ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে অভিযোগ জানাবেন ডায়মন্ড হারবারের বিদায়ী সাংসদ।
[আরও পড়ুন: কংগ্রেসের পর সিপিএম, ভোটের আগে প্রায় ৫ কোটি টাকা ফ্রিজ আয়কর দপ্তরের]
উল্লেখ্য, গত ৬ মার্চ ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে নেমে ২ তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। রাতেই অভিযুক্তদের বাড়িতে হানা দিয়েছিল তদন্তকারীরা। গ্রেপ্তার করে নিয়ে যাওয়ার পথে তদন্তকারীদের পথ আটকায় স্থানীয়রা। গাড়ির কাঁচ ভাঙে। এক আধিকারিকের মাথাও ফাটে। যদিও তৃণমূলের পালটা অভিযোগ, তদন্তকারীরা রাতে মহিলাদের হেনস্তা করছিলেন। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির নির্দেশে কাজ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। ভোটের আগে তৃণমূল এজেন্টদের গ্রেপ্তার করাচ্ছে গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে ৪ কেন্দ্রীয় এজেন্সির মাথাদের অপসারণ চেয়ে এদিন কমিশনের দ্বারস্থ হন ডেরেক-শান্তনু-দোলারা। কমিশনের ফুল বেঞ্চের সঙ্গে তাঁদের ১০-১৫ মিনিট কথাও হয়। এর পর বাইরে বেরিয়ে ২৪ ঘণ্টার ধরনা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন দোলা সেন।
অভিযোগ, সেখানেই দিল্লি পুলিশের ন্যাক্কারজনক আক্রমণের শিকার হন তৃণমূল নেতৃত্ব। এ প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন জানান, কৃষিভবনের ঘটনার পুনরাবৃত্তি হল আজ। আমরা তো বলেছি, দেশজুড়ে জমিদারি রাজ চলছে। এদিন সেটাই আরও একবার প্রমাণ হয়ে গেল।”