shono
Advertisement

স্থানীয় নেতৃত্বের সঙ্গে অভিষেকের বৈঠক, ত্রিপুরায় নির্বাচনে ‘একলা চলা’র পথেই তৃণমূল

ত্রিপুরার প্রার্থীবিন্যাস নিয়েও দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কিছুদিনের মধ্যেই জানাবে তৃণমূল।
Posted: 09:45 AM Jan 21, 2023Updated: 09:48 AM Jan 21, 2023

ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ত্রিপুরার ৬০ আসনের পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে আপাতত একলা চলো নীতিতে চলারই সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। সব আসনেই প্রার্থীপদে ২ জন করে মোট ১২০টি নামের তালিকা জমা পড়েছে। সে সব নিয়েও আলোচনা হয়েছে। প্রার্থীবিন‌্যাস নিয়েও দলের চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত কিছুদিনের মধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হবে। শুক্রবার কলকাতার ক‌্যামাক স্ট্রিটে নিজের অফিসে ঘণ্টাদুয়েকের বৈঠকে ত্রিপুরায় দলের নেতৃত্বকে নিয়ে বসেছিলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ‌্যায়। বৈঠক সেরে বেরিয়ে সে রাজ্যের পর্যবেক্ষক রাজীব বন্দ্যোপাধ‌্যায় বলেন, “ভোটের রণকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়েছে আসন ধরে ধরে। তৃণমূল কংগ্রেস বরাবর একলা চলায় বিশ্বাসী। আমাদের সম্পদ মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায় আর অভিষেক বন্দ্যোপাধ‌্যায়। এখনও অবধি আমাদের অবস্থান ‘একলা চলোই’।”

Advertisement

পুরভোট ও উপনির্বাচনে সেখানে দলের যা ফল হয়েছিল, বিধানসভা নির্বাচনে তার থেকে অনেকটাই ভাল ফল হবে বলে জানিয়েছেন রাজীব। বাম-কংগ্রেস ইতিমধ্যে সেখানে জোট ঘোষণা করেছে। এই অবস্থায় নতুন সমীকরণ হওয়ার ইঙ্গিত দিয়ে রাজীবের দাবি, “তৃণমূল কংগ্রেসকে এবার নতুনভাবে দেখতে পাবেন।” ত্রিপুরায় ভোট ১৬ ফেব্রুয়ারি। নতুন চেহারাই হোক, বা নতুন কোনও সমীকরণ, ভোটের ত্রিপুরায় প্রচারে ঝড় তুলবে তৃণমূল। তৃণমূলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ‌্যায় নিজে প্রচারে যাবেন। চলতি মাসে যাবেন অভিষেক। এই পরিস্থিতিতে আঞ্চলিক কোনও দলের সঙ্গে জোট নিয়ে কোনও সমীকরণ এগোয় কি না, তৃণমূলের আলোচনায় সে বিষয়টিও থাকছে। বাম-কংগ্রেস জোটকেও এদিন কটাক্ষ করেছেন রাজীব। বলেছেন, “জোটের ফল কী হয়েছে আগেই দেখা গিয়েছে। যে জায়গায় উপনির্বাচন হয়েছিল, সেখানে বাম নয়তো কংগ্রেসের গড় ছিল।”

[আরও পড়ুন: তদন্তে ‘অসহযোগিতা’, ফ্ল্যাটে টানা ২৪ ঘণ্টা তল্লাশির পর গ্রেপ্তার তৃণমূল যুব নেতা কুন্তল ঘোষ]

রাজীব ছাড়াও এদিন বৈঠকে ছিলেন সে রাজ্যের তৃণমূল সভাপতি পীযূষকান্তি বিশ্বাস ও রাজ‌্যসভার সাংসদ তথা ত্রিপুরার দায়িত্বপ্রাপ্ত আরেক নেত্রী সুস্মিতা দেব। ভোট কাটা নিয়ে ইতিমধ্যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ তুলেছে বিজেপি। সে সব অভিযোগ উড়িয়ে পাল্টা বাম-কংগ্রেসকে কটাক্ষ করে পীযূষবাবু বলেছেন, “২০২১-এ বাংলায় ভোটে বাম-কংগ্রেস জানত তারা শূন্য পাবে। কিন্তু ওরা ভোট কেটে বিজেপিকে সাহায্য করতে চেয়েছিল। এখন ত্রিপুরাতেও ওদের আঁতাঁত হয়েছে।” আঞ্চলিক দল তিপ্রা মথা ও বাম-কংগ্রেস জোট সমীকরণ নিয়ে সুস্মিতা আবার বলেছেন, “২০১৮ সালে ত্রিপুরায় বামেদের ভোট চলে যায় বিজেপিতে। এখন বাম-কংগ্রেস জোট হয়েছে। যারা বিজেপিকে চায় না, তারা বামেদের দিকেও যাবে না। তিপ্রা মথা যেখানে ভাল ফল করেছে, সেখানে আবার বামেদের শক্ত ঘাঁটি ছিল।”

শেষ পুরসভা নির্বাচনের ভিত্তিতে ত্রিপুরায় বর্তমানে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল। সংগঠনকে শক্তিশালী করতে অনেক আগেই কোমর বেঁধে নেমেছেন অভিষেক। ফলে ত্রিপুরায় প্রথম স্থান দখলের লড়াইয়ে কোনও খামতি রাখতে চান না তিনি। সেখানে ভোট প্রচার ইতিমধ্যে শুরু হয়ে গিয়েছে। প্রসঙ্গত, ত্রিপুরার আদিবাসীদের স্বশাসিত পর্ষদ নির্বাচনে ভাল ফল করেছে তিপ্রা মথা। বর্তমানে ২০-২১টি আসন তাদের দখলে। ফলে নিজেদের ভোটকৌশল সাজাতে এই সব কিছুই মাথায় রাখছে তৃণমূল।

[আরও পড়ুন: শীঘ্রই তৃণমূলে হিরণ! নতুন ছবি প্রকাশ্যে আসতেই আরও জোরালো জল্পনা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement