ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: একুশের ভোটে (WB Assembly Polls) তৃণমূল বিধায়ক, মন্ত্রীদের প্রার্থী হওয়ার রাশ অনেকটাই কাউন্সিলরদের হাতে। কোন এলাকার বিধায়ক বা মন্ত্রীদের পারফরম্যান্স কেমন, তা নিয়ে কাউন্সিলরদের দেওয়া মার্কশিট অনেকটাই নির্ভর করবে এবছর তিনি টিকিট পাবেন কি না। সূত্রের খবর, কাউন্সিলরদের এই মনোভাব বুঝতে তাই চূড়ান্ত প্রার্থী তালিকা ঘোষণার আগে বৃহস্পতিবার তৃণমূল (TMC) ভবনে তাঁদের নিয়ে বৈঠকে বসছে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব। থাকবেন অন্যান্য জেলার ব্লক সভাপতিরাও।
কোন কাউন্সিলর তাঁর নিজের বিধায়ককে কাজ এবং জনসংযোগের নিরিখে কত নম্বর দিচ্ছেন, সেই মার্কশিটের ভিত্তিতে প্রার্থী চূড়ান্ত করতে চলেছেন তৃণমূলের ভোটকুশলী পিকে (Prashant Kishor)। পারফরম্যান্স ভাল হলেই যে কেউ ২০২১এ নির্বাচনী লড়াইয়ে ঘাসফুল শিবিরের যোগ্য প্রার্থী হবেন, তা নাও হতে পারে। পিকে ‘স্যরে’র বিচারে বিধায়ক বা মন্ত্রী কতটা যোগ্য, তা ঠিক হবে কাউন্সিলরদের (Councillor) মতামতের ভিত্তিতে। একজন বিধায়কের তত্ত্বাবধানে যে ক’জন কাউন্সিলর কাজ করেন, তাঁদের থেকে একদফা রিপোর্ট নেওয়া হয়েছে ইতিমধ্যে। এরপর তাঁদের সঙ্গে আরও বিস্তারিত আলোচনা করতে বৃহস্পতিবার তৃণমূল ভবনে কাউন্সিলরদের নিয়ে বৈঠকে বসছেন দলের রাজ্য সভাপতি সুব্রত বক্সি, মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। জনপ্রতিনিধিদের নিয়ে কাউন্সিলররা কে কী বক্তব্য রাখেন, সেদিকে নজর রাখা হচ্ছে।
[আরও পড়ুন: খাস কলকাতায় সাহায্য করার অজুহাতে কিশোরীকে হেনস্তা! পুলিশের জালে ২ যুবক]
তৃণমূলের প্রার্থী তালিকা প্রায় চূড়ান্ত। কিন্তু কেউই জানেন না, কে কোথা থেকে লড়াইয়ের সুযোগ পাচ্ছেন কিংবা আদৌ এ বছর আর নির্বাচনী লড়াইয়ে প্রার্থী হচ্ছেন কি না। যা নিয়ে চিন্তার মেঘ ঘনিয়েছে দলের জনপ্রতিনিধিদের কপালে। কাউন্সিলররা কে কী রিপোর্ট দেন, তা নিয়ে টেনশন রয়েছে সকলেরই। এই অবস্থায় বৃহস্পতিবার শীর্ষ নেতৃত্বের কাছে কাউন্সিলররা কেমন প্রতিক্রিয়া দেন, তার উপর হয়ত চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। জেলাগুলির ক্ষেত্রে তৃণমূলের ব্লক সভাপতিদের বক্তব্যকে গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। তাই প্রার্থী ঘোষণার আগে তাঁদের মতামত জেনে নিতেই তৃণমূল ভবনে বৈঠক ডাকা হয়েছে বলে সূত্রের খবর।