সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের নতুন রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের (CV Anada Bose) সঙ্গে এখনও পর্যন্ত সৌজন্য বজায় রাখার পথেই হেঁটেছে রাজ্যের শাসকদল। রাজ্যপালের তরফে এখনও পর্যন্ত শাসক শিবিরের সঙ্গে সমন্বয় বজায় রেখে কাজ করার ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছে, পালটা সৌজন্য দেখিয়েছে শাসকদলও। কিন্তু এবার সেই সমীকরণে বদল আসার ইঙ্গিত মিলছে। তৃণমূল (TMC) বলছে, রাজ্যপাল যদি রীতি এবং সৌজন্য সীমা লঙ্ঘন করেন, তাহলে তাঁকে তাঁর ভাষাতেই জবাব দেওয়া হবে।
আসলে রাজ্যপালের গত কয়েকদিনের একাধিক পদক্ষেপ শাসকদলের জন্য রীতিমতো অস্বস্তিকর। শনিবার বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার (Sukanta Majumdar) রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সঙ্গে দেখা করার পরই তাঁর কাজের ধরন যেন বদলে গিয়েছে। শোনা গিয়েছে, রাজ্যপালের প্রধান সচিব নন্দিনী চক্রবর্তীকে অব্যাহতি দিয়ে, নতুন একটি পরামর্শদাতা পরিষদ নিয়োগ করতে চলেছেন তিনি। তাতে আবার ভিনরাজ্যের বিজেপি ঘনিষ্ঠ আইএএসরা (IAS) থাকতে পারেন।
[আরও পড়ুন: ‘বিজেপির ভয় নেই, লুকনোরও কিছু নেই’, আদানি ইস্যুতে প্রথমবার মুখ খুললেন অমিত শাহ]
রাজ্যপালের এই পদক্ষেপকে মোটেই ভাল চোখে দেখছে না তৃণমূল কংগ্রেস। এ বিষয়ে দলের রাজ্য সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষের (Kunal Ghosh) বক্তব্য, “যারা ধনকড়কে পাঠিয়েছিলেন, তারাই তো সিভি আনন্দ বোসকে পাঠিয়েছেন। দু’জনের কর্মপদ্ধতি আলাদা হলেও উৎস তো একই। দু’জনের উদ্দেশ্য আলাদা হবে এটা ভেবে নেওয়া ঠিক হবে না।” কুণালের সাফ কথা, ডঃ সিভি আনন্দ বোস যতদিন সৌজন্য বজায় রাখবেন, নিয়মের মধ্যে থেকে কাজ করবেন, ততদিন পর্যন্ত পালটা সৌজন্য দেখানো হবে। কিন্তু রাজ্যপাল যদি রীতি বিরুদ্ধভাবে রাজ্যের সমালোচনা বা নজরদারি চালানোর চেষ্টা করেন, বা অন্য রাজ্যের আইপিএসদের অন্যভাবে ব্যবহার করা হয়, তাহলে প্রতিক্রিয়ার ভাষা এবং মেজাজ দুটোই বদলাতে হবে।”
[আরও পড়ুন: ‘বীর সেনার আত্মত্যাগ ভোলার নয়’, পুলওয়ামা হামলার স্মৃতিতে টুইট প্রধানমন্ত্রীর]
নন্দিনী চক্রবর্তীর সম্ভাব্য অব্যাহতি নিয়েও ক্ষুব্ধ তৃণমূল। কুণালবাবু বলছিলেন, “তাঁকে যদি অস্বাভাবিক কারণে সরানোর পরিস্থিতি তৈরি হয়, তাহলে ধরে নিতে হবে পর্দার আড়ালে অস্বাভাবিক কিছু হচ্ছে।” অর্থাৎ তৃণমূলের তরফে স্পষ্ট করে দেওয়া হল রাজ্যপাল যদি রাজ্যের সঙ্গে মৌখিক সৌজন্যের আড়ালে বড় কোনও পদক্ষেপ করেন, তাহলে তাঁকে পালটা প্রতিক্রিয়াও পেতে হবে।