শঙ্করকুমার রায়, রায়গঞ্জ: উত্তর দিনাজপুরে ফের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে চাপে তৃণমূল কংগ্রেস (TMC)। এবার কার্যত দল ছাড়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে দিলেন ১১ বারের বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী। যা নিয়ে জেলা নেতৃত্বের অন্দরে তীব্র চাপানউতোর শুরু হয়েছ।
বিবাদ মূলত ইসলামপুরের ব্লক সভাপতি পদ নিয়ে। মঙ্গলবার নিজের বাড়িতে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দলের জেলা সভাপতি কানহাইয়ালাল আগরওয়ালের উদ্দেশ্যে ইসলামপুরের বর্ষীয়ান বিধায়ক আবদুল করিম চৌধুরী (Abdul Karim Chowdhury) বলেন, “ইসলামপুরের ব্লক সভাপতি জাকির হুসেনকে সরিয়ে আমার পছন্দের মানুষ মেহতাব চৌধুরীকে (করিম চৌধুরির জেষ্ঠ পুত্র) ব্লক সভাপতি করেছি। কিন্তু সেটা মানা হচ্ছে না।যদি আপনি দায়িত্ব সামলাতে না পারেন তাহলে আমাকে ছেড়ে দেন।” কার্যত হুঁশিয়ারির সুরে বলে দেন ইসলামপুরের ১১ বারের বিধায়ক।
[আরও পড়ুন: মুকুটে নয়া পালক, ফের দেশের সেরাদের তালিকায় কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, অভিনন্দন মুখ্যমন্ত্রীর]
এদিন স্থানীয় গোলঘরের বাসভবনে সাংবাদিক বৈঠকে ইসলামপুরের নবনির্বাচিত ব্লক সভাপতি জাকির হুসেনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ তুলে সরব হন করিম চৌধুরী। তাঁর অভিযোগ,”জাকির হুসেন পুনরায় ব্লক সভাপতি হওয়ায় ইসলামপুরের মানুষ আতঙ্কে আছেন। তাই ইসলামপুরের ব্লক সভাপতির পদ থেকে জাকির হুসেনকে সরানোর জন্য আবেদন করেছি। আর যদি আগামীতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee) জাকির হুসেনকে ব্লক সভাপতি থেকে সরাতে না পারেন, তাহলে আমার উপর দায়িত্ব ছেড়ে দিন।”
[আরও পড়ুন: খেলা হবে দিবসে ‘শুভেন্দু’র কোমরে দড়ি পরিয়ে ঘোরাল TMC, মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে তোপ বিজেপিকে]
এ ব্যাপারে দলের জেলা সভাপতি কানহাইয়ালাল আগরওয়াল (Kanhaiyalal Agarwal) বলেন,”১৪ আগস্টে ফের জাকির হুসেনকেই ইসলামপুরের ব্লক সভাপতি পদে দায়িত্ব দিয়েছেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় (Abhishek Banerjee)। তার উপর আর কোনও অভিযোগ থাকার কথা নয়।” তিনি আরও বলেন,” ইসলামপুর-সহ রায়গঞ্জ শহর সভাপতি-সহ জেলার চারটি ব্লকের সভাপতি পদ নিয়ে সমস্যা হচ্ছিল। কিন্তু সব সমস্যা মিটে গেছে।”