অর্ণব দাস, বারাসত: মাদক নিজে মজুত করেন থানার আইসি (IC) ! ডিলারদের সঙ্গে তাঁর সরাসরি যোগাযোগ আছে। পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে এমনই বিস্ফোরক অভিযোগে সরব হলেন আমডাঙার তৃণমূল (TMC) বিধায়ক রফিকুর রহমান। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, আইসির মদতেই এতদিন এলাকায় মাদক-সহ একাধিক নিষিদ্ধ সামগ্রীর রমরমা ব্যবসা চলছে। এমনটা চলতে থাকলে কখনওই আমডাঙা এলাকায় শান্তি আসবে না বলে দাবি তাঁর। বিধায়কের এই দাবি ঘিরে এলাকার রাজনৈতিক মহলে শোরগোল।
ঘটনার সূত্রপাত সোমবার। ওইদিন হাটের এক ব্যবসায়ীর উপর আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে দুষ্কৃতী হামলার ঘটনা ঘটে। এনিয়ে উত্তেজনা ছড়ায় আমডাঙার (Amdanga)দারিয়াপুর এলাকায়। দুষ্কৃতীদের এই কার্যকলাপের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে এদিন রাতেই হাটের মালিক ঘনিষ্ঠ ব্যবসায়ীরা নৈহাটি-হাবরা রোড অবরোধ করেন। ফলে পরিস্থিতি আরও বিপজ্জনক হয়ে ওঠে। তৈরি হয় যানজট। খবর পেয়ে আমডাঙা থানার পুলিশ গিয়ে অবরোধ তুলে দেয়। পুলিশ সূত্রে খবর, এক দুষ্কৃতীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
[আরও পড়ুন: বিকিনি পরে লাস্যময়ী ‘ম্যাডাম’, ছবি দেখে মুগ্ধ ছেলে! বাবার অভিযোগে চাকরি হারালেন অধ্যাপিকা]
আমডাঙার দারিয়াপুরের হাটের ব্যবসায়ী মহল সূত্রে জানা গিয়েছে, এলাকার দুই দুষ্কৃতী মাদকের কারবার করে। সোমবার তারই প্রতিবাদ করেছিলেন হাট মালিকের ছেলে। অভিযোগ, পালটা দিতে তিন দুষ্কৃতী আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হামলা চালায় তাঁর উপর। চলে মারধর। এই ঘটনার পর আমডাঙার আইসির বিরুদ্ধে মাদক ব্যবসায়ীর সঙ্গে প্রত্যক্ষ যোগাযোগ নিয়ে বিস্ফোরক অভিযোগ তুললেন বিধায়ক রফিকুর রহমানে। আইসিকে অপসারণের দাবিও তোলেন তিনি। তাঁর স্পষ্ট অভিযোগ, ”ড্রাগ ডিলারদের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ আছে আমডাঙার আইসি অঞ্জন দত্ত।”
[আরও পড়ুন: বিয়েতে নারাজ, লিভ-ইন সঙ্গীর গলা কেটে খুন মহিলার, দেহ উদ্ধার ট্রলি ব্যাগ খেকে]
দীর্ঘদিন ধরেই আমডাঙা এলাকার একাধিক গুরুত্বপূর্ণ জায়গা – বিডিও অফিস, থানার পাশের কাছাড়ি মোড়, দারিয়াপুরে প্রায় প্রকাশ্যে মাদকের কারবার চলে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। একবার প্রতিবাদে মদের ঠেক ভাঙচুর করেন স্থানীয় মহিলারা। সেবারও বেআইনি কারবার বন্ধে সরব হয়েছিলেন বিধায়ক। কিন্তু সেসবের পরও রমরমিয়ে চলছে মাদক পাচার চক্র। সোমবারের ঘটনাই তার প্রমাণ। আর এই অশান্ত পরিস্থিতি নিয়েই বিধায়কের দাবি, ”ওই আইসিকে না সরালে শান্তি ফিরবে না।”