ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্রর বিতর্কিত মন্তব্য ঘিরে তোলপাড় রাজ্য রাজনীতি। সোমবারের পর মঙ্গলবারও উত্তাল রইল বিধানসভা। দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের বিরুদ্ধে তৃণমূল বিধায়কের কুরুচিকর মন্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু বিরোধীদের প্রস্তাব খারিজ করে দেন স্পিকার। এনিয়ে ফের বিক্ষোভ শুরু করেন বিজেপি বিধায়কেরা। বিক্ষোভ থামলে তারপর ফের অধিবেশনের কাজকর্ম শুরু হয় বিধানসভায়। এদিন অবশ্য নিজের মন্তব্যে নিয়ে অধিবেশন চলাকালীন বিবৃতিও দিয়েছেন তৃণমূল বিধায়ক। পরে অবশ্য বিজেপি বিধায়করা বিধানসভা থেকে ওয়াকআউট করেন।
জনসভায় দেশের প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ও গুজরাটিদের নিয়ে বিতর্কিত মন্তব্য করেছিলেন মালদহের মানিকচকের তৃণমূল বিধায়ক সাবিত্রী মিত্র। সেই প্রসঙ্গ টেনে এদিনও মুলতুবি প্রস্তাব আনতে চেয়েছিল বিজেপি। কিন্তু প্রস্তাব খারিজ হয়ে যায়। ফলে তুমুল বিক্ষোভ দেখান বিজেপি বিধায়করা। স্পিকারের নির্দেশে বিতর্ক প্রসঙ্গে বিবৃতি দেন শাসকদলের বিধায়ক।
[আরও পড়ুন: সরকারের তরফে আনা শীতবস্ত্র কোথায়? জেলাশাসককে ধমকে হিঙ্গলগঞ্জের সভা থামালেন মুখ্যমন্ত্রী]
সাবিত্রী জানান, “স্বাধীনতা আন্দোলনে গুজরাটের ভূমিকা নেই এমন কথা বলতে চাইনি বা বলিওনি। শুভেন্দু অধিকারী টুইট করে ভুল ব্যাখ্যা দিয়েছেন। আমি বলেছি, স্বাধীনতা আন্দোলনে আরএসএস মানে এই বিজেপির পূর্বপুরুষের কোনও ভূমিকা ছিল না।” এর পর ফের বিক্ষোভ শুরু করে বিজেপি। স্পিকার স্পষ্ট জানিয়ে দেন, এই বিক্ষোভ চলাকালীন কোনও কুমন্তব্য নোট করা হবে না। বাইরের কোনও বিষয় নিয়ে অধিবেশনে আলোচনা হতে পারে না। ওয়াকআউট করে বিজেপি বিধায়কেরা। বাইরে বিক্ষোভ চালিয়ে যায় তাঁরা। এদিন হেয়ার স্ট্রিট থানায় বিধায়কের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করেছে বিজেপি। এমনকী বিধানসভা থেকে তাঁকে বহিষ্কারের দাবিও জানিয়েছেন।
তবে নিজের মন্তব্যে অনড় তৃণমূল বিধায়ক। বিধানসভার বাইরে এসেও সেকথা জানিয়েছেন তিনি। তৃণমূল বিধায়কের পালটা দাবি, “বিজেপি যখন মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়ে কুমন্তব্য করে তার বেলা? তারা ক্ষমা চেয়েছেন? তারা কোনও বিবৃতি দিয়েছেন?”