নন্দিতা রায়, নয়াদিল্লি: পেট্রল-ডিজেলের আকাশছোঁয়া দাম নিয়ে কেন্দ্র নির্বিকার কেন? এই প্রশ্নে উত্তপ্ত হয়ে উঠল পেট্রোলিয়াম এবং প্রাকৃতিক গ্যাস সংক্রান্ত সংসদীয় কমিটির বৈঠক। কমিটির চেয়ারম্যান তথা কেন্দ্রীয় পেট্রোলিয়াম মন্ত্রী হরদীপ সিং পুরীকে (Hardeep Singh Puri) প্রশ্নবাণে জর্জরিত করে দিলেন তৃণমূলের শান্তনু সেন। শান্তনুর সঙ্গে সুর মিলিয়ে সংসদের পরামর্শদাতা কমিটির অন্যান্য বিরোধী শিবিরের সদস্যরাও হরদীপ সিং পুরীকে কোণঠাসা করার চেষ্টা করেন।
সূত্রের খবর, এদিনের সংসদের পরামর্শদাতা কমিটির বৈঠকে শান্তনু সেন (Shantanu Sen) কেন্দ্রীয় মন্ত্রীর উদ্দেশ্যে প্রশ্ন তোলেন, দেশজুড়ে পেট্রল-ডিজেলের দাম বেড়ে চলেছে কেন? আন্তর্জাতিক বাজারে দর কমলেও তার সুফল কেন ভারতীয়রা পাচ্ছে না? সূত্র বলছে, কেন্দ্রকে কটাক্ষ করে তৃণমূল (TMC) সাংসদ প্রশ্ন তোলেন, কোভিডের সময় সারা বিশ্ব যখন থমকে ছিল, তখনও কেন ভারত সরকার দাম কমায়নি? কেন্দ্রীয় সরকার এক্সাইজ ডিউটি বাবদ গত কয়েক বছরে কত কোটি টাকা রোজগার করেছে সেটাও নাকি জানতে চান তৃণমূল সাংসদ।
[আরও পড়ুন: ‘শিক্ষাবিভাগ চোরেদের আখড়া, ঐতিহাসিক চুরি হয়েছে’, নিয়োগ দুর্নীতি নিয়ে ফের তোপ দিলীপের]
পেট্রল-ডিজেলের (Petrol-Diesel) দাম বৃদ্ধি নিয়ে যখনই প্রশ্ন করা হয়, কেন্দ্রীয় সরকার তখনই বিকল্প জ্বালানি ব্যবহার করার পরামর্শ দেয়। জৈব জ্বালানি বা বায়ো ফুয়েল ব্যবহারে বরাবর আগ্রহ দেখিয়ে আসছে মোদি সরকার। কিন্তু শান্তনু সেন এদিন কেন্দ্রীয় সংসদীয় কমিটির বৈঠকে মন্ত্রীর কাছে জানতে চান, এই বায়ো ফুয়েল ব্যবহার করলে কৃষক, কৃষিজমি ও অন্যান্য খাদ্যশস্যের ক্ষতি হবে না, সেটার নিশ্চয়তা কোথায়? বস্তুত তৃণমূল সাংসদের এই সব প্রশ্নের সেভাবে কোনও সদুত্তর দিতে পারেননি বলেই সূত্রের দাবি।
[আরও পড়ুন: অনৈতিক কাজে বাধা দেওয়ার বদলির অভিযোগ কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে, হাই কোর্টের দ্বারস্থ শিক্ষিকা]
যদিও পালটা শান্তনু সেনকে আক্রমণ করার চেষ্টা করেন হরদীপ পুরী। সূত্রের খবর, পশ্চিমবঙ্গ সরকার যখন জ্বালানির মূল্যবৃদ্ধি নিয়ে এত চিন্তিত তখন রাজ্য সরকার VAT কমাচ্ছে না কেন? তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি। যার জবাবে তথ্য তুলে ধরে শান্তনু সেন বলেন, রাজ্য সরকার বহু আগেই পেট্রল-ডিজেলে লিটারপ্রতি ১ টাকা করে ভ্যাট কমিয়েছে। তাছাড়া রাজ্য সরকারের ১ লক্ষ ৯৬৮ কোটি টাকা পাওনা রয়েছে কেন্দ্রের কাছে। সেই টাকা পেলেই বাংলার সরকার আগামী ৫ বছর মানুষকে এই সুবিধা দেবে। সূত্রের খবর, দু’পক্ষের এই বাদানুবাদে রীতিমতো উত্তপ্ত হয়ে ওঠে সংসদীয় কমিটির বৈঠক।