চঞ্চল প্রধান, হলদিয়া: সমবায় সমিতির নির্বাচনে ফের তৃণমূলের জয়জয়কার। হলদিয়া আরবান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডের পরিচালন বোর্ড নির্বাচনে জয়ী ঘাসফুল শিবির। ১৮ টি আসনের সবকটিই নিজেদের দখলে রাখল তৃণমূল। স্বাভাবিকভাবেই খুশির হাওয়া শাসক শিবিরে।
৪৭ বছরের পুরনো হলদিয়া আরবান কোঅপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেড। কিন্তু বিভিন্ন জটিলতায় পরিচালন বোর্ড নির্বাচন বন্ধ ছিল। জটিলতা কাটিয়ে এবার নির্বাচন হল। ভোটের আগেই মোট ৩৩ টি আসনের নন্দীগ্রাম এবং মহিষাদল বিধানসভা এলাকায় ১৫ টি আসনে প্রার্থীরা বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয় তৃণমূল। রবিবার ভোট হয় ১৮ টি আসনে। তৃণমূলের প্রার্থীদের পাশাপাশি সিপিএম ও বিজেপিও প্রার্থী দিয়েছিল। যদিও সিপিএম এবং বিজেপির স্থানীয় নেতৃত্ব জানিয়েছেন তাদের তরফে কোনও প্রার্থী ছিল না। সিপিএমের সুতাহাটা এরিয়া কমিটির সম্পাদক অশোক পাত্র জানিয়েছেন, "হলদিয়া আরবান কো-অপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটির কবে ভোটের দিনক্ষণ ঠিক হলো সেটা আমরা কোনওভাবেই জানতে পারিনি । প্রতিদ্বন্দ্বিতা তো দূরের কথা।" ভোটের প্রসঙ্গ টেনে বিজেপির তমলুক সাংগঠনিক জেলার সহ-সভাপতি, সুতাহাটা ব্লকের আহ্বায়ক আনন্দময় অধিকারী বলেন, "নন্দীগ্রাম এবং মহিষাদলে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে অ্যাডজাস্ট করা হয়েছে। যার ফলে ভোট হয়নি। এক রকম সিলেকশনের ভিত্তিতে প্রতিনিধি ঠিক করা হয়েছে। শুধুমাত্র হলদিয়া বিধানসভায় ব্যতিক্রম ঘটনা। এখানে ভোট হল। কিন্তু আমাদের প্রার্থী ছিল না।"
[আরও পড়ুন: ‘অভিভাবক ভাবি, তাই…’, মমতার কাছে বিহিতের আর্জি স্বস্তিকার, কী দাবি সুদীপ্তা-চৈতিদের?]
ভোট প্রসঙ্গে সুতাহাটা ব্লক তৃণমূল কংগ্রেস সভাপতি পার্থ বটব্যাল জানিয়েছেন, "তৃণমূল কংগ্রেস মানুষের সঙ্গে আছে। লড়াইয়ের ময়দানেও আছে। হলদিয়া আরবান কোঅপারেটিভ ক্রেডিট সোসাইটি লিমিটেডের ভোটে তা প্রমাণিত হল। রবিবার ছিল ১৮টি আসনে ভোট হয়েছে। আমরা সবকটি আসনে জয়ী হয়েছি। সমবায় পরিচালনার ক্ষেত্রে সদস্যরা আমাদের উপর ভরসা রেখেছেন। এজন্য তাঁদের কাছে আমরা কৃতজ্ঞ। বিজেপি-সিপিএম কংগ্রেস, সবাই একজোট হয়ে ভোটের ময়দানে নেমেছিল। হেরে গিয়ে বলছে প্রার্থী ছিল না।"