সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এই ভোটে (West Bengal Assembly election 2021) তাঁকে বহুমুখী লড়াই লড়তে হচ্ছে। বাম, বিজেপির (BJP) পাশাপাশি তাঁকে লড়তে হচ্ছে কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central force), নির্বাচন কমিশনের (Election Commission) ভূমিকার বিরুদ্ধেও। বারুইপুরে নির্বাচনী প্রচারে গিয়ে স্বভাবসিদ্ধ ভঙ্গিতে এমনই অভিযোগ করলেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)।
বারুইপুরের (Baruipur) সভামঞ্চ থেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “আমি এমন নির্বাচন কোনও দিন দেখিনি। এটা ইলেকশন নাকি বিজেপির সিলেকশন! বিজেপি যাকেই বলছে পরের দিন তাদের (কমিশনের নির্দেশে পুলিশ অধিকারিকদের বদলি প্রসঙ্গে) পালটে দিচ্ছে।” শুধু অভিযোগ করাই নয়, এই সব বদলির উপর যে তিনি নজর রাখছেন, তাও বুঝিয়ে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
[আরও পড়ুন: নারীবিদ্বেষী মনোভাবের অভিযোগ, মোদির ‘দিদি, ও দিদি’ সম্বোধনে আপত্তি তৃণমূলের]
ভোটের আগে প্রচার শেষ হলেই, এলাকায় এলাকায় কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ান বা বহিরাগতরা পুলিশের পোশাক পরে বিজেপির লোকেদের নিয়ে তাণ্ডব চালাচ্ছে বলে অভিযোগ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর ভয় না পেয়ে কী ভাবে এসব আটকাতে হবে তারও নিদান দিয়েছেন স্বয়ং মমতা। বাড়ির মহিলাদের শাঁখ বাজিয়ে, উলু দিয়ে সবাইকে সতর্ক করে জোটবদ্ধ ভাবে প্রতিরোধ গড়ে তোলার কথা বলেন। তবে এই কাজে বাড়ির ছেলেদের না ঢুকতেই বলেছেন। বাড়ির মহিলাদেরই এই লড়াই লড়তে বলেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, আমি দেখতে চাই এই মোদি, অমিত শাহের বিরুদ্ধে লড়াইটা বাড়ির মহিলারা জিতুক। আর তিনি এই লড়াইয়ে সবার সঙ্গে আছেন বলেও আশ্বাস দেন।
বারুইপুরের আগে আমতায় (Amta) সভা করেন মমতা। সেখানে তিনি অভিযোগ করেন, সুন্দরবনে এক প্রিসাইডিং অফিসার তাঁকে ভোট গ্রহণের অভিজ্ঞতার কথা জানিয়েছেন। ওই প্রিসাইডিং অফিসারকে এক সিআরপিএফ জওয়ান নাকি ভোট শুরুর আগেই বলেন, “লিখে দিন গন্ডগোল হচ্ছিল, তাই গুলি চালানোর অর্ডার দিয়েছি।” মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “রাজ্যের আইনশৃঙ্খলা রাজ্যের হাতে, অমিত শাহের হাতে নয়। আপনাদের কে অধিকার দিয়েছে গুলি চালানোর।” সব মিলিয়ে কেন্দ্রীয় বাহিনী বা কমিশনের ভূমিকা নিয়ে যে তিনি খুব একটা খুশি নন, বারে বারেই ফুটে উঠেছে তৃণমূল নেত্রীর বক্তব্যে।