সংবাদ প্রতিদিন ব্যুরো: সামনেই পঞ্চায়েত নির্বাচন। তার আগে ফাঁকা অনুব্রত গড়। তাই দলনেত্রী হিসাবে বীরভূমের দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বাড়ল বেশ কয়েকজনের সাংগঠনিক দায়িত্বও। কালীঘাটের সাংগঠনিক বৈঠকে সাগরদিঘিতে ভরাডুবি নিয়েও আলোচনা হয়।
গত আগস্ট মাসে বোলপুরের নিচুপট্টির বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার হন অনুব্রত মণ্ডল। তার আগেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় গ্রেপ্তার হন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। গ্রেপ্তারির পরই পার্থকে দলের সমস্ত পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। তবে এখনও খাতায় কলমে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি রয়েছেন অনুব্রত। তিনি বর্তমানে দিল্লিতে ইডি হেফাজতে। তার ফলে স্বাভাবিকভাবেই ফাঁকা অনুব্রত গড়। কালীঘাটের বৈঠকে হয়তো বীরভূমের সংগঠনে বদল আসতে পারে বলেই জল্পনা মাথাচাড়া দিয়েছিল। তবে সেই জল্পনা সত্যি হল না। বরং বীরভূমের দায়িত্ব নিজের কাঁধেই তুলে নিলেন মমতা। তিনি সামলাবেন অনুব্রত গড়।
[আরও পড়ুন: মাসে তিনদিন জেলাভিত্তিক বৈঠক, পঞ্চায়েত ভোটের আগে জনসংযোগে আরও জোর মমতার]
এদিনের বৈঠকে সাংগঠনিক স্তরে আরও নানা গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর দায়িত্ব বৃদ্ধি করা হয়। সাবিনা ইয়াসমিনের পাশাপাশি এবার মালদহ, মুর্শিদাবাদ ও উত্তর দিনাজপুরের সংগঠন দেখভাল করবেন সিদ্দিকুল্লাও। অরূপ বিশ্বাসের কাঁধে দেওয়া হয়েছে নদিয়া, পূর্ব বর্ধমান এবং দার্জিলিংয়ের দায়িত্ব। বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, পশ্চিম বর্ধমানের সাংগঠনিক দেখভালের দায়িত্ব মলয় ঘটকের। দক্ষিণ দিনাজপুরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাপস রায়কে। তবে তাঁরা কেউই পর্যবেক্ষক নন।
এই প্রসঙ্গে সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “দলের তরফে পর্যবেক্ষক বলে কাউকেই ঘোষণা হয়নি। এঁরা প্রত্যেকেই সংশ্লিষ্ট জেলা দেখবেন বলে বলা হয়েছে। দলের তরফে তাঁরা জেলার সংগঠন দেখবেন। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। দলের কিছু কিছু পদ্ধতিগত সিদ্ধান্ত নিতে হতে পারে। এখন কোনও অবজার্ভার নেই, দেখার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পর্যবেক্ষক পদ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। আজ একজনের দায়িত্ব রয়েছে, পরবর্তীকালে তাঁদের বদলে দেওয়া হতে পারে।”
সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্বও বদল করা হয়। হাড়োয়ার বিধায়ক হাজি নুরুল ইসলামের বিরুদ্ধে কর্তব্যে গাফিলতির অভিযোগ ওঠায় এবার সংখ্যালঘু সেলের দায়িত্ব সামলাবেন মোশারফ হোসেন। এদিকে, সাগরদিঘি উপনির্বাচনে ভরাডুবি নিয়ে আলোচনা হয় এদিনের বৈঠকে। মমতা বলেন, “সংখ্যালঘুরা আমাদের পাশেই আছেন। সংখ্যালঘু ভোট কমেনি৷ সাগরদিঘিতে হার আমাদের দুর্বলতার কারণে। সুব্রত সাহা তো হিন্দু ছিলেন তাহলে উনি তিনবার কী করে জিতলেন?” হারের কারণ পর্যালোচনায় বিশেষ কমিটি গঠনেরও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।