ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: স্বামী বিবেকানন্দকে অপমানের অভিযোগ উঠেছে বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদারের বিরুদ্ধে। পালটা পথে নেমে প্রতিবাদ করবে তৃণমূল। তাদের সেই প্রতিবাদ কর্মসূচি ঘোষণা করল ঘাসফুল শিবির। সোমবার মাঝরাতে কলকাতা আসছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ ও বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জেপি নাড্ডা। মঙ্গলবার দিনভর শহরে থাকবেন তাঁরা। এদিনই ব্লকে ব্লকে প্রতিবাদ করবে তৃণমূল। এমনকী, কলকাতায় রয়েছে মহামিছিল।
এদিন সর্বভারতীয় তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, শহরে ও ব্লকে ব্লকে প্রতিবাদ মিছিল করবে যুব তৃণমূল। ব্লকে ব্লকে স্বামীজির মূর্তিতে শ্রদ্ধার্ঘ্য নিবেদন করবেন যুব তৃণমূলের নেতা-নেত্রীরা। পাশাপাশি স্বামীজির আদর্শ মেনে মিছিলে নেতা-নেত্রীদের কাছে থাকবে ফুটবল। মিছিল শেষে ফুটবলও খেলা হতে পারে। কলকাতার মিছিলের নেতৃত্বে থাকবেন যুব তৃণমূল নেত্রী সায়নী ঘোষ। তাঁদের দাবি একটাই, স্বামীজিকে অপমানের জন্য় অমিত শাহ এবং সুকান্ত মজুমদারকে ক্ষমা চাইতে হবে।
[আরও পড়ুন: অবিশ্বাস্য! হার্দিককে দলে নেওয়ার জন্য গুজরাটকে ১০০ কোটি ট্রান্সফার ফি দিয়েছে মুম্বই!]
এদিন ঘাসফুল শিবিরের শাহের বঙ্গসফরকে ড্যামেজ কন্ট্রোল বলে কটাক্ষ করা হয়েছে। তাঁদের দাবি, “সুকান্ত মজুমদার স্বামীজিকে অপমান করেছেন। সেই ড্যামেজ কন্ট্রোল করতেই শহরে আসছেন অমিত শাহ। তবে এই সফরে কাজের কাজ হবে না।” সুকান্ত মজুমদারের মন্তব্যের জন্য ক্ষমা চান অমিত শাহ। বাংলার সাংস্কৃতিক পুরোধাদের অপমানের সমর্থন করবে তাদের দল? বিজেপির অবস্থান স্পষ্ট করুক। দাবি তৃণমূলের।
প্রসঙ্গত, রবিবার ব্রিগেডে ‘লক্ষ কন্ঠ গীতাপাঠ’ প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে সুকান্ত মজুমদার বলেন, “বাংলা বহু যুগ ধরে এই সনাতন সংস্কৃতির ধারক এবং বাহক। এবং ভক্তি আন্দোলনের পীঠস্থান ছিল। মাঝে বাংলা কিছুটা ডিরেলড হয়েছিল, বামপন্থীদের দ্বারা। এখন দেখতে পাচ্ছেন না অল্প বিদ্যা ভয়ংকরী। গীতাপাঠের থেকে ফুটবল খেলা ভালো যারা বলছেন তারা বামপন্থী প্রোডাক্ট। এখন বাংলা সঠিক পথে যাবে। আজকে থেকে শুরু হচ্ছে সঠিক পথে যাওয়া।” এর প্রতিবাদেই পথে নামছে তৃণমূল।