সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: গত ৫ বছর ধরে লাগাতার আন্দোলন, দিল্লিতে ধরনার পরও ১০০ দিনের টাকা ফেরাতে দুর্গম 'গিরি' পার হতে পারেনি বাংলা। মোদি ৩.০ সরকারে এবার সেই গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক গিরিরাজের পরিবর্তে গিয়েছে শিবরাজের হাতে। যার জেরে গ্রামন্নয়ন মন্ত্রকে আটকে থাকা বাংলার ১০০ দিনের কাজের বকেয়া টাকা ফেরাতে সরাসরি 'শিব'-এর দ্বারস্থ হতে হবে বাংলাকে।
১৮ তম লোকসভা নির্বাচনের তৃণমূলের প্রচারের অন্যতম অস্ত্র ছিল বাংলার প্রতি কেন্দ্রীয় বঞ্চনা। জেলায় জেলায় প্রচারে গিয়ে বার বার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়রা জানিয়েছেন, লোকসভা নির্বাচনের পর ফের ১০০ দিনের বকেয়া টাকা আদায়ে আন্দোলনে নামবেন তাঁরা। পূর্বেও বকেয়া আদায়ে গিরিরাজের 'দুয়ারে' আন্দোলন করতে দেখা গিয়েছিল অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়দের। এবার সেই আন্দোলন শুরু হবে শিবরাজ অর্থাৎ 'মামাজি'র দুয়ারে। কারণ মন্ত্রক বিলির পর তাঁর হাতেই গিয়েছে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক। অন্যদিকে, গিরিরাজ সিংকে এবার দেওয়া হয়েছে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ বস্ত্র মন্ত্রক। পাশাপাশি পঞ্চায়েতিরাজ মন্ত্রক গিয়েছে এনডিএর শরিক দল জেডিইউ-এর হাতে। এই মন্ত্রকের মন্ত্রী হয়েছেন নীতীশের দলের সাংসদ রাজীব রঞ্জন সিং।
উল্লেখ্য, বাংলার বকেয়া টাকা পেতে কেন্দ্রের উপর ক্রমাগত চাপ তৈরি করতে চেষ্টার কোনও ত্রুটি রাখেনি রাজ্যের শাসকদল। যদিও তৎকালীন কেন্দ্রীয় পঞ্চায়েতিরাজ ও গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রকের মন্ত্রী গিরিরাজের অভিযোগ ছিল তৃণমূল হিসাব দিচ্ছে না বলেই আটকে রয়েছে টাকা। যদিও তৃণমূলের তরফে পালটা জানিয়ে দেওয়া হয় সব হিসাব কেন্দ্রকে দেওয়া হয়েছে তারপরও রাজনৈতিক প্রতিহিংসা চালাচ্ছে মোদি সরকার। কেন্দ্রকে যে হিসেব দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের তরফে তার প্রমাণও তুলে ধরেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এমনকী গত বছর পঞ্চায়েত ভোটের পর সেপ্টেম্বর মাসে দিল্লিতে কৃষি ভবনে যান অভিষেক। তবে সেই সময় দপ্তরে ছিলেন না গিরিরাজ। ছিলেন প্রতিমন্ত্রী সাধ্বী নিরঞ্জন জ্যোতি। সেখানে তৃণমূলের প্রতিনিধিদের হেনস্তারও অভিযোগ ওঠে।
[আরও পড়ুন: ক্যানসারে আক্রান্ত মিঠু, চলছে কেমো, স্ত্রীকে নিয়ে মুখ খুললেন ‘ফেলুদা’ সব্যসাচী]
এবার অবশ্য পরিস্থিতি ভিন্ন নির্বাচনে হেরে গিয়েছেন সাধ্বী নিরঞ্জন। গিরিরাজকে ছেঁটে ফেলে কেন্দ্রীয় গ্রামোন্নয়ন মন্ত্রক দেওয়া হয়েছে শিবরাজ সিংকে। পঞ্চায়েতিরাজ মন্ত্রক গিয়েছে নীতীশের দলের সাংসদ রাজীব রঞ্জন সিংয়ের হাতে। ফলে নয়া সরকারে নতুন করে আন্দোলনের ঝাঁজ বাড়ানোর প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে তৃণমূল।