স্টাফ রিপোর্টার: কলকাতাবাসীর বিপুল সমর্থন নিয়ে কলকাতা পুরসভার ক্ষমতায় ফেরার পর আজ প্রশাসক নির্বাচন। মহানগরীর নতুন মেয়র (Mayor) কে হবেন, কারা হবেন মেয়র পারিষদ, বরোর দায়িত্বই বা কারা পাবেন? এই সব প্রশ্নের উত্তরই হয়ত মিবে আজই। জানা গিয়েছে, দুপুর ২টোয় বিজয়ী ১৩৪ জন কাউন্সিলরকে নিয়ে বৈঠকে বসছেন তৃণমূল কংগ্রেসের সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। থাকবেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ও। এই বৈঠক থেকেই চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত ঘোষণার কথা। পুরসভা সূত্রে খবর, আগামী ২৭ ডিসেম্বর নবনির্বাচিত কাউন্সিলররা শপথ নেবেন। আর ২৮ ডিসেম্বর মেয়রের আনুষ্ঠানিক নির্বাচন এবং শপথগ্রহণ।
কলকাতা পুরসভার(Kolkata Municipal Corporation) চেয়ারম্যান সম্ভবত মালা রায়ই থাকছেন। মেয়র পদে কি ফিরহাদ হাকিমই (Firhad Hakim) থাকবেন? নাকি নতুন মুখ? তুল্যমূল্য বিচারে ফিরহাদই সবচেয়ে এগিয়ে। অন্তর্বর্তী সময়ে দায়িত্ব নিয়ে তিনি প্রচুর পরিশ্রম করেছেন। কলকাতায় কাজ করার অভিজ্ঞতাও অনেকদিনের। সেক্ষেত্রে তাঁরই মেয়র হওয়ার সম্ভাবনা বেশি বলে তৃণমূল সূত্রে খবর। তিনি মেয়র হলে মন্ত্রিত্বও কি থাকবে? এ নিয়েও জল্পনা রয়েছে। আবার অন্য কেউ যদি মেয়র হন, তাহলে পুরদপ্তরের দায়িত্ব পেতে পারেন ফিরহাদ হাকিম। তবে এবার ডেপুটি মেয়র (Deputy Mayor) হতে পারেন একাধিক ব্যক্তি। অতীন ঘোষ ডেপুটি মেয়র ছিলেনই। এবার তাঁর সঙ্গী হতে পারেন দেবাশিস কুমার।
[আরও পডুন: Omicron: কলকাতায় ওমিক্রনের থাবা, দুই বিদেশ ফেরতের শরীরে মিলল করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট]
মেয়র পারিষদের (MIC) ক্ষেত্রে এবার বেশ কিছু নতুন মহিলা মুখ দেখা যেতে পারে। থাকবে সংখ্যালঘু ও সমাজের সর্বস্তরের প্রতিনিধিত্ব। বরো চেয়ারম্যান কারা হবেন, তা আজই জানা যাবে কি না তা স্পষ্ট নয়। তৃণমূলের প্রার্থীতালিকায় একদিকে যেমন নতুন মুখের ছড়াছড়ি ছিল, তেমনই ৪৫ শতাংশই মহিলা। এঁদের প্রায় সবাই জিতেছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সর্বত্রই নারী ক্ষমতায়নকে প্রাধান্য দেন। ফলে, বিভিন্ন দায়িত্ব বণ্টনে এবার চমক থাকতে পারে। আজ মহারাষ্ট্র নিবাসের বৈঠকে মমতা-অভিষেকের পাশাপাশি সুব্রত বক্সি, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ও উপস্থিত থাকবেন।
[আরও পডুন: Primary TET 2014: নিয়োগ তালিকায় ফের ভুল, কলকাতা হাই কোর্টে মানল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ]
কাজের সাফল্যের নিরিখেই পুরভোটে টিকিট দিয়েছিলেন মমতা। সেইজন্যই চল্লিশের বেশি কাউন্সিলর এবারের পুরভোটে লড়াইয়ের সুযোগ পাননি। আগামিদিনেও কাজের মূল্যায়নই সবচেয়ে বেশি প্রাধান্য পাবে। যাঁরা নতুন দায়িত্বে আসবেন, তাঁদের এই বার্তাটাই দেওয়া হবে যে, জনপ্রতিনিধি হিসাবে মানুষের কাজ করতে হবে। নতুবা সরে যেতে হবে। যিনি কাজ করবেন না, তিনি থাকবেন না। স্বভাবতই আজ, দলনেত্রীর বার্তা অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তৃতীয়বার ক্ষমতায় আসার পর যেভাবে সরকার চলছে, পুরসভাতেও ঠিক সেভাবেই চলতে হবে। কলকাতার মানুষের যে আস্থা এই নির্বাচনে প্রকট হয়েছে, যেভাবে বিজেপিকে তাঁরা দূরে সরিয়ে দিয়েছেন, সে বিষয়টি মাথায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে বলে আজ কাউন্সিলরদের নির্দেশ দিতে চলেছেন দলনেত্রী।