সৈকত মাইতি, তমলুক: সাময়িক ধাক্কা সামলে আবারও তমলুকের সমবায় নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী তৃণমূল। উল্লাসে ফেটে পড়লেন দলের কর্মী-সমর্থকরা। লোকসভা নির্বাচনের আগে এই জয় কর্মীদের মনোবল চাঙ্গা করবে বলে দাবি শাসকদলের।
তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকের অন্তর্গত ধলহরা খণ্ডগ্রাম কৃষি উন্নয়ন সমবায় সমিতি। যার আসন সংখ্যা ৪৬। ভোটার সংখ্যা প্রায় ২২৪৮। দীর্ঘদিন ধরেই ডানপন্থীদের দখলে রয়েছে তমলুক-ঘাটাল সেন্ট্রাল কো-অপারেটিভ ব্যাংকের অধীনে একেবারে প্রথম সারিতে থাকা এই সমবায় সমিতিটি। বুধবার ছিল এই সমবায় সমিতির নির্বাচন। যেখানে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে তৃণমূল ও বিজেপি, সিপিএম সমর্থিত-সহ প্রায় ১১৬ জন প্রার্থী। তার মধ্যে আবার একাধিক আসনে শাসকদলেরই দুই গোষ্ঠীর দাপুটে নেতারা প্রার্থী হওয়ায় গন্ডগোলের আশঙ্কা ছিলই। টানটান উত্তেজনার মধ্যে দিয়ে শুরু হয় নির্বাচন। ভোটের আগে দুটি আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল তৃণমূল এবং বিজেপি সমর্থিত প্রতিনিধিরা।
[আরও পড়ুন: আমডাঙা হত্যাকাণ্ড: তৃণমূল নেতা খুনের ১৪ দিনের মাথায় গ্রেপ্তার অন্যতম অভিযুক্ত-সহ ৪]
৪৪ টি আসনের মধ্যেই হাড্ডাহাড্ডি লড়াই হয়। ফলাফল ঘোষণার পর দেখা গেল ৩০টি আসনে জয়ী তৃণমূল সমর্থিত প্রার্থীরা। সেই সঙ্গে বিজেপি ১০টি এবং নির্দল পেয়েছে ৬টি আসন। প্রসঙ্গত, দীর্ঘদিন তমলুকের শহিদ মাতঙ্গিনী পঞ্চায়েত সমিতি তৃণমূলের দখলে থাকলেও সম্প্রতি ত্রিস্তর পঞ্চায়েত নির্বাচনে হাতছাড়া হয়। ফলে শাসকদলের কর্মী সমর্থকদের মনোবল অনেকটাই ভেঙে যায়। ওই ব্লকের তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি অপূর্ব জানা বলেন, “রাম-বামের রামধনু জোটকে পরাস্ত করে বিপুল ভোটে জয়যুক্ত হয়েছে তৃণমূল। আগামিদিনে এই ফলাফল কর্মীদের মনোবল অনেকটাই চাঙ্গা করবে।” আরও একধাপ এগিয়ে এই ব্লকের তৃণমূলের যুব সভাপতি সুমিত সামন্ত বলেন, “সাময়িক ধাক্কা কাটিয়ে তৃণমূল কংগ্রেস আবারও শহিদ মাতঙ্গিনী ব্লকে ঘুরে দাঁড়াবেই। এদিনের সমবায় সমিতির নির্বাচনের ফলাফল তারই ইঙ্গিত দিয়েছে।” যদিও তৃণমূলের এই জয় প্রসঙ্গে জেলা পরিষদের বিরোধী দলনেতা বিজেপির বামদেব গুছাইত বলেন, তৃণমূল বোর্ড গঠন করলেও অপেক্ষাকৃত এই প্রথম সমবায় সমিতির লড়াইয়ে ১০ টি আসন পেয়েছে বিজেপি। ফলাফল ভালো হয়েছে।”