রঞ্জন মহাপাত্র, কাঁথি: নির্বাচন পরবর্তী অশান্তিতে ফের উত্তপ্ত বাংলা। এবার তৃণমূলের (TMC) দলীয় কার্যালয় লক্ষ্য করে লাগাতার বোমাবাজি এবং গুলি ছোঁড়ার অভিযোগ উঠল। এই ঘটনায় গুলিবিদ্ধও হয়েছেন এক তৃণমূল কর্মী। কাঠগড়ায় বিজেপি। যদিও গেরুয়া শিবির অভিযোগ নস্যাৎ করেছে।
ঠিক কী হয়েছিল? মঙ্গলবার সন্ধেয় পূর্ব মেদিনীপুরের ভগবানপুর ২ নম্বর ব্লকের এক্তারপুরের তৃণমূলের কার্যালয়ে বেশ কয়েকজন কর্মী বসেছিলেন। অভিযোগ, সেই সময় আচমকাই একদল দুষ্কৃতী বোমাবাজি করতে শুরু করে। কিছু বুঝে ওঠার আগেই গুলিও ছুঁড়তে থাকে তারা। সেই সময় দ্বারকেশ দাস নামে এক তৃণমূল কর্মী কার্যালয়ের দরজার সামনে চলে আসেন। গুলি লাগে তাঁর কোমরে। অন্য তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা যদিও অল্পের জন্য রক্ষা পান। তারপরই এলাকা ছাড়ে দুষ্কৃতীরা।
[আরও পড়ুন: ৭ ঘণ্টা পড়ে হিন্দু বৃদ্ধের দেহ! এগিয়ে এলেন না আত্মীয়রা, সৎকার করলেন চাঁদ মহম্মদরা]
গুলিবিদ্ধ ওই তৃণমূল কর্মীকে তড়িঘড়ি উদ্ধার করা হয়। প্রথমে তাঁকে মুগবেড়িয়া গ্রামীণ হাসপাতালে ভরতি করা হয়। তবে জখম তৃণমূল কর্মীর অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক হওয়ায় প্রথমে তমলুক জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়। তবে ওই হাসপাতালে চিকিৎসা করে তাঁর শারীরিক অবস্থার বিশেষ উন্নতি হয়নি। সে কারণেই গভীর রাতে জখম দ্বারকেশকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করা হয়। আপাতত সেখানেই চিকিৎসাধীন তিনি।
তৃণমূল কর্মী গুলিবিদ্ধ হওয়ায় ঘটনায় কাঠগড়ায় গেরুয়া শিবির (BJP)। নির্বাচনে শাসকদলের বিপুল জয় মেনে নিতে না পেরে দলীয় কর্মী-সমর্থকদের উপর হামলা চালাচ্ছে বলেই দাবি তৃণমূলের। যদিও সে দাবি নস্যাৎ করেছে বিরোধী পদ্মশিবির। তারা এই বোমাবাজি এবং গুলি চলার ঘটনাকে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বলেই দাবি করেছে। এদিকে, এই ঘটনার পর যাতে এলাকায় নতুন করে কোনও অশান্তি তৈরি না হয় তাই বিশাল পুলিশবাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ঘটনার তদন্তও শুরু করেছে পুলিশ। যদিও এখনও কেউ গ্রেপ্তার হয়নি।