অতুলচন্দ্র নাগ, ডোমকল: অভিযোগ খতিয়ে দেখতে গিয়ে তৃণমূল কর্মীদের সঙ্গে ধস্তাধস্তি পুলিশের। উর্দিধারীরা নির্বিচারে তৃণমূল কর্মীদের বাড়িতে ভাঙচুর করে বলেও অভিযোগ। যদিও পুলিশ ধস্তাধস্তি ও বাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। বৃহস্পতিবার বিকেলের দিকে এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে মুর্শিদাবাদের রানিনগরের মরিচা নিচুপাড়ায় তুমুল উত্তেজনা। পুলিশ এই ঘটনায় ২ জনকে আটক করেছে। ডোমকলের এসডিপিও শুভম বাজাজের নেতৃত্বে এলাকায় বিশাল পুলিশ বাহিনী যায়। মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (লালবাগ) রাজবীর সিং জানান “এলাকায় পুলিশ আছে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে।”
ঘটনার সূত্রপাত বৃহস্পতিবার দুপুরের দিকে। তৃণমূল সমর্থক শিরিফা বেওয়া থানায় অভিযোগ, তাঁকে জোট সমর্থকেরা গালিগালাজ করেছেন। ওই ঘটনার তদন্তে গিয়েছিল পুলিশ। অভিযোগ, কোনওরকম তদন্ত ছাড়াই জোট কর্মীদের গ্রেপ্তারিতে চাপ দেন তৃণমূল কর্মী-সমর্থকরা। তার জেরে তৃণমূলের সঙ্গে পুলিশ প্রথমে বচসা এবং পরে ধস্তাধস্তিতে জড়িয়ে পড়ে বলেই অভিযোগ। গ্রামের মহিলারাও ছিলেন। ধস্তাধস্তির মুহূর্ত বর্তমানে সোশাল মিডিয়ায় ভাইরাল। যদিও তার সত্যতা যাচাই করেনি সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল। এই ঘটনার পরই পুলিশ তৃণমূল কর্মী-সমর্থকদের সাতটি বাড়িতে ভাঙচুর চালায় বলেও অভিযোগ।
[আরও পড়ুন: রাজভবনের সিসিটিভি ফুটেজে প্রকাশ্যে অভিযোগকারিণীর মুখ! কী প্রতিক্রিয়া তরুণীর?]
মালিবাড়ি ১ নম্বর গ্রাম পঞ্চায়েতের প্রধান তৃণমূল নেতা জাহাঙ্গির ইসলামের অভিযোগ, “পুলিশ বাড়ি ভাঙচুরের পাশাপাশি পুরুষ-মহিলাদের উপর নির্বিচারে লাঠিচার্জ করে। অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করা হয় মহিলাদের। অথচ ঘটনাস্থলে কোনও মহিলাকর্মী ছিলেন না। পুলিশ জোট কর্মী-সমর্থকদের হয়ে কাজ করছে। আমাদের কোনও কথা শুনছে না।”
কংগ্রেসের জেলা সম্পাদক জাহাঙ্গির ফকির জানান, “ভোটের আগে থেকেই তৃণমূল প্রধান জাহাঙ্গির ইসলামের নেতৃত্বে এলাকায় সন্ত্রাস করার পরিকল্পনা ছিল। কিন্তু কেন্দ্রীয় বাহিনী ও পুলিশি তৎপরতায় সেটা সম্ভব হয়নি। ভোটটাও শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে।” যদিও মুর্শিদাবাদের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রাজবীর সিং জানান, “পুলিশ একটি ঘটনার তদন্তে গেলে সামান্য উত্তেজনা হয়। তবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে। কাউকে মারধর বা বাড়ি ভাঙচুরের কোনও ঘটনা ঘটেনি।”