দেবব্রত মণ্ডল, বারুইপুর: তৃণমূল (TMC) নেতাকে লক্ষ্য করে চলল গুলি। গুলিবিদ্ধ নেতার অবস্থা আশঙ্কাজনক। শনিবার রাতে ঘটনাটি ঘটেছে দক্ষিণ ২৪ পরগনা ক্যানিং (Canning) থানার সাতমুখী এলাকাতে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই নেতাকে কলকাতার এসএসকেএম হাসপাতালে ভরতি করা হয়েছে। এনিয়ে তাঁর উপর দ্বিতীয়বার প্রাণঘাতী হামলা হল বলে দাবি পরিবারের।
গুলিবিদ্ধ তৃণমূল যুব নেতার নাম মহরম শেখ। আহত অবস্থায় তাঁকে প্রথমে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল পরে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, মহরমের শারীরিক অবস্থা যথেষ্ট আশঙ্কাজনক। মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন তিনি। এদিকে এই ঘটনায় এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনা ছড়িয়েছে। এলাকায় মোতায়েন করা হয়েছে বিশাল পুলিশ বাহিনী।
[আরও পড়ুন: লটারির টিকিট কেটে রাতারাতি ভাগ্যবদল, রাজমিস্ত্রি থেকে কোটিপতি মেদিনীপুরের যুবক!]
শনিবার সন্ধেয় দলীয় কার্যালয় থেকে যখন তিনি বাড়ি ফিরছিলেন তখনই রাস্তায় তাঁকে আক্রমণ করে কয়েকজন দুষ্কৃতী। তাঁকে লক্ষ্য করে এলোপাথারি গুলি ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। দু’টি গুলি বুক ভেদ করে বেরিয়ে যায়। তারপরই তড়িঘড়ি তাঁকে নিয়ে আসা হয় হাসপাতালে।
আহত ওই ব্যক্তি ক্যানিং ১ নম্বর ব্লকের নিকারীঘাটা গ্রাম পঞ্চায়েতের তৃণমূল যুব সভাপতি বলে দলীয় সূত্রে খবর। এর আগেও ওই তৃণমূল নেতাকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছিল। তবে সেইবার প্রাণে বেঁচে যান তিনি। পর পর দু’বার হামলা অনেকগুলি প্রশ্ন তুলে দিয়েছে।
[আরও পড়ুন: লটারির টিকিট কেটে রাতারাতি ভাগ্যবদল, রাজমিস্ত্রি থেকে কোটিপতি মেদিনীপুরের যুবক!]
কেউ কেউ বলছেন তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জেরেই হামলা। স্থানীয় সূত্রে খবর, ওই এলাকায় প্রায়শই তৃণমূলের যুব ও মূল সংগঠনের মধ্যে অশান্তি লেগে থাকে। তার জেরেই এই হামলা কিনা তা এখনও স্পষ্ট নয়। যদিও ব্যক্তিগত শত্রুতার জেরেও হামলার আশঙ্কাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।