সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: এজেন্সির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক পক্ষপাতিত্বের অভিযোগ তুলে দিল্লি পুলিশের কোপের মুখে পড়েছিল তৃণমূল। সোমবার রাতভর দিল্লির মন্দির মার্গ থানাতে (Mandir Marg police station) আটক করে রাখা হয় তৃণমূলের প্রতিনিধি দলকে। শেষরাতে থানা থেকে তৃণমূল (TMC) নেতাদের ছেড়ে দেওয়া হলেও অবস্থান বিক্ষোভে অনড় রইলেন তাঁরা। মঙ্গলবার সকাল থেকে দেখা গেল থানার বাইরেই অবস্থানে বসেছে তৃণমূলের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি দল। রাজধানীর মাটিতে তৃণমূলের এই আন্দোলনের পাশে দাঁড়িয়েছে আম আদমি পার্টি (AAP)। তৃণমূলের অবস্থানে যোগ দিয়েছে আপও।
ভূপতিনগর বিস্ফোরণ কাণ্ডের তদন্তে নেমে গত শনিবার গ্রামে তল্লাশি চালিয়ে ২ তৃণমূল নেতাকে গ্রেপ্তার করে এনআইএ। বিজেপির নির্দেশে এজেন্সি এই কাণ্ড ঘটিয়েছে অভিযোগ তুলেছে তৃণমূল। তৃণমূলের অভিযোগ, বিজেপির নির্দেশে কাজ করছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাগুলি। ভোটের আগে তৃণমূল এজেন্টদের গ্রেপ্তার করাচ্ছে গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে ৪ কেন্দ্রীয় এজেন্সির মাথাদের অপসারণ চেয়ে এদিন কমিশনের দ্বারস্থ হন ডেরেক-শান্তনু-দোলারা। সেখান থেকে বেরিয়ে ২৪ ঘণ্টার ধরনা কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেন দোলা সেন। অবস্থানে বসার কিছুক্ষণের মধ্যেই সেখানে হানা দেয় দিল্লি পুলিশ টেনে হিঁচড়ে তৃণমূল নেতাদের সেখান থেকে তুলে আটক করে নিয়ে যাওয়া হয় দিল্লির মন্দির মার্গ থানায়। অভিযোগ, প্রায় সারা রাত তৃণমূল নেতাদের আটক করে রাখা হয় থানাতেই। পরে ছেড়ে দেওয়া হলে থানার বাইরেই অবস্থানে বসেন দোলা সেন, শান্তনু সেন, ডেরেক ও'ব্রায়েন, সাগরিক ঘোষ, অর্পিতা ঘোষ সহ ১০ জনের প্রতিনিধি দল। তৃণমূলের তরফে জানানো হয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল পর্যন্ত অবস্থান চলবে। কমিশনের বাইরে অবস্থান করতে পারিনি, থানাতেই কর্মসূচি চালাবেন বলে জানিয়েছেন দোলা সেন।
[আরও পড়ুন: ‘গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে কমিশন’, রাজভবন থেকে বেরিয়ে তোপ অভিষেকের]
এদিকে এজেন্সির বিরুদ্ধে তৃণমূলের এই আন্দোলনে তাদের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে দিল্লির শাসকদল আম আদমি পার্টি। এক্স হ্যান্ডেলে তৃণমূলের পাশে থাকার বার্তা দিয়েছেন আপ নেতা সঞ্জয় সিং। তৃণমূলের অবস্থানের ছবি তুলে ধরে আপের তরফে লেখা হয়েছে, "নির্বাচন কমিশনের থেকে ন্যায় চাইলে জেল বরাদ্দ হবে। তৃণমূল সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েন ও তাঁর দলের এই লড়াইয়ের পাশে রয়েছে আম আদমি পার্টি।"
[আরও পড়ুন: ৬ মাস ধরে হামাসের সঙ্গে রক্তক্ষয়ী সংঘাত, অবশেষে পিছু হটছে ইজরায়েল সেনা?]
এদিকে দিল্লি পুলিশের ন্যাক্কারজনক আক্রমণের প্রতিবাদে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে রাজভবনে রাজ্যে রাজ্যপালের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তৃণমূলের ১২ সদস্যের প্রতিনিধি দল। সেখান থেকে বেরিয়ে কমিশনকে তোপ দেগে অভিষেক বলেন, “জাতীয় নির্বাচন কমিশনের অফিসের বাইরে থেকে তৃণমূলের সাংসদদের টেনে হিঁচড়ে অসম্মানিত করেছে দিল্লি পুলিশ ও সিআইএসএফ। এ কাজ কমিশনের অঙ্গুলিহেলন ছাড়া হতে পারে না। কমিশন গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। আজ গণতন্ত্রের কালো দিন।” পাশাপাশি বলেন, "নির্বাচন কমিশন বিজেপির হাতের পুতুল। যে নির্বাচন কমিশন দেশের গর্ব ছিল সেই নির্বাচন কমিশন বিজেপির কাছে মাথা নিচু করেছে। নির্বাচন কমিশনারের বিরুদ্ধে সরাসরি অভিযোগ করছি। আপনারা চান না বিরোধীরা লড়াইয়ের সমান জমি পাক। ক্ষমতা থাকলে আমার বিরুদ্ধে মামলা করুন।"