রাজা দাস, বালুরঘাট: আয়ের নতুন দিশা হিসেবে গাঁদা চাষে ঝুঁকছেন দক্ষিণ দিনাজপুরের কৃষকরা। তাঁদের গাঁদা চাষে উৎসাহী করছে উদ্যান পালন বিভাগ। প্রথাগত চাষের বাইরে গিয়ে পরীক্ষামূলক গাঁদা চাষে ইতিমধ্যে লাভের মুখ দেখছেন তাঁরা। চাহিদা অনুযায়ী বেশি বেশি গাঁদা চাষের মাধ্যমে মহিলাদের স্বনির্ভর করাও উদ্দেশ্য সংশ্লিষ্ট দপ্তরের।
দক্ষিণ দিনাজপুর জেলার কৃষকদের মধ্যে বিকল্প চাষের প্রবণতা তৈরি হয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে মরশুমি ফুল গাঁদা। আগে গাঁদাফুল বা অন্যান্য ফুলের জন্য নির্ভর করতে হত বাইরের জেলাগুলির উপর। এখন জেলা উদ্যানপালন বিভাগের সহায়তায় সে চিত্র অনেকটাই বদলেছে। কারণ জেলার প্রায় ৭৫ একর জমিতে চাষ হচ্ছে গাঁদাফুলের। বালুরঘাট ব্লকের পরাণপুর ও চাকহরিণা গ্রামে প্রায় পঞ্চাশের বেশি কৃষক এই চাষের সঙ্গে যুক্ত। শুধু কৃষকরা নয় তাঁর পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও এই কাজ করছেন।
[আরও পড়ুন: বাড়িতেই চাষ করুন কড়াইশুঁটি, পদ্ধতি জানেন তো?]
জেলা উদ্যানপালন বিভাগ ফুলচাষিদের বিঘা প্রতি ৫ হাজার ২৮০ টাকা করে অনুদান দিচ্ছে। সরকারি অনুদান ও প্রশিক্ষণ পেয়ে খুশি কৃষকরা। জেলার বেশি সংখ্যক মানুষ যাতে গাঁদাফুল চাষে এগিয়ে আসেন তাই একের পর এক পরিকল্পনা গ্রহণ এবং আর্থিক সহায়তার ভাবনা শুরু করেছে সংশ্লিষ্ট দপ্তর। জেলা উদ্যানপালন বিভাগের আধিকারিক সমরেন্দ্রনাথ খাঁড়া বলেন, “কৃষক তো বটেই বাড়ির মহিলাদের এই চাষে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে। যাতে তাঁরা স্বনির্ভর হতে পারেন। উৎসাহীদের প্রশিক্ষণের পাশাপাশি চারা গাছ এনে দেওয়ার ব্যবস্থাও করে দেওয়া হচ্ছে। তাঁরা এই কারণেই সরাসরি মাঠে নামছেন। ৩৩ শতক বা ২০ কাঠা জমিতে কেউ এই চাষ করলে তাঁদের অনুদান দেওয়া হচ্ছে ২ হাজার ১১২ টাকা করে। যাতে চারাগাছ বা সার কিনতে পারেন।” দক্ষিণ দিনাজপুরে অন্তত ৪০টির বেশি গাঁদা ফুলের দোকান রয়েছে। এছাড়া মালদহে বিরাট চাহিদা রয়েছে গাঁদাফুলের। সুতরাং গাঁদা চাষ যথেষ্ট লাভজনক। তাই বহু সংখ্যক মানুষ এই চাষের দিকে ঝুঁকছেন।
The post বাড়ছে চাহিদা, বেশি লাভের আশায় বিকল্প হিসাবে গাঁদা চাষে মন কৃষকদের appeared first on Sangbad Pratidin.