সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ক্যাপিটল বিল্ডিংয়ে ( US Capitol) হামলার ঘটনায় ইতিমধ্যে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের (Donald Trump) বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি তুলছেন ডেমোক্র্যাটরা (Democrat)। আবার অন্যদিকে হোয়াইট হাউসে (White House) ট্রাম্প প্রশাসনের একের পর এক কর্তাব্যক্তিরা পদত্যাগ করছেন। ইতিমধ্যে ইস্তফা দিয়েছেন ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের (Melania Trump) চিফ অফ স্টাফ স্টেফানি গ্রিশাম (Stephanie Grisham) ও হোয়াইট হাউসের সোশ্যাল সেক্রেটারি রিকি নিসেটা (Rickie Niceta)।
এছাড়াও মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা (National Security Advisor) রবার্ট ও’ব্রায়েন (Robert O Brian) ও তাঁর ডেপুটি ম্যাথু পট্টিঞ্জারও (Matthew Pottinger) ইস্তফা দেওয়ার ভাবনাচিন্তা করছেন বলে জানা গিয়েছে। ও’ব্রায়েন জানিয়েছেন যে ইতিমধ্যে তাঁর ভাইস প্রেসিডেন্ট মাইক পেন্সের সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে কথা হয়েছে। এছাড়াও প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের ডেপুটি চিফ অফ স্টাফ ক্রিস লিডডেলও (Chris Liddell) পদত্যাগ করতে চলেছেন বলে জানা গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: ‘দারুণ দৃশ্য’, আমেরিকায় ট্রাম্প সমর্থকদের হামলার ঘটনায় উল্লসিত চিনের কমিউনিস্ট পার্টি]
ইতিমধ্যে প্রেসিডেন্ট পদ থেকে ডোনাল্ড ট্রাম্পকে অপসারিত (Impeachment) করার ডাক দিয়েছেন ডেমোক্র্যাট সদস্যরা। ট্রাম্পের বিরুদ্ধে জনগণকে উসকানি দেওয়ারও অভিযোগ করেছেন তাঁরা। ট্রাম্পের সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দিয়েছে ফেসবুক ও টুইটার। এর আগেও একবার অপসারণ প্রক্রিয়া বা ইম্পিচমেন্টের মুখোমুখি হতে হয়েছে ট্রাম্পকে। ক্ষমতার অপব্যবহারের অভিযোগে তাঁর বিরুদ্ধে ইম্পিচমেন্ট প্রক্রিয়া শুরু করে মার্কিন কংগ্রেস। কিন্তু সেনেটের বাধায় সেই প্রক্রিয়া সফল হয়নি। আর গতকালের ঘটনার পর ফের একবার জোরাল হয়েছে ট্রাম্পকে অপসারণ করার দাবি।
মার্কিন কংগ্রেসের সভাকে কেন্দ্র করে রীতিমতো উত্তাল আমেরিকার(United States of America) রাজধানী ওয়াশিংটন (Washington DC)। গত নভেম্বর মাসের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে (US Presidential Election) বিপুল ভোটে জয়ী হন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী জো বিডেন। সেই জয়ের উপর সিলমোহর দিতেই বসেছিল মার্কিন কংগ্রেসের যৌথ অধিবেশন। প্রথম থেকেই নির্বাচনে তাঁর এই হার স্বীকার করতে রাজি হননি ট্রাম্প।
কংগ্রেসের সভার মাঝেই ক্যাপিটল হিলের মধ্যে ঢুকে পড়েন বেশ কিছু ট্রাম্প সমর্থক। তাঁদের বাধা দিতে গেলে পুলিশের সঙ্গে রীতিমতো খণ্ডযুদ্ধ বেঁধে যায় বিক্ষোভকারীদের। পরিস্থিতি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে ওঠে যে পুলিশ গুলি চালাতে বাধ্য হয়। পুলিশের ছোড়া গুলিতে এক মহিলা-সহ চার জনের মৃত্যুও হয়েছে বলেও জানা গিয়েছে। ঘটনার তীব্র নিন্দায় সরব হয়েছেন সারা পৃথিবীর রাষ্ট্রনেতারা। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিও (Narendra Modi) শান্তিপূর্ণ ক্ষমতা হস্তান্তরের বার্তা দিয়েছেন আমেরিকার প্রতি।