সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চিনের সঙ্গে সংঘাতের আবহে ফের তাইওয়ান সফরে যাচ্ছেন শীর্ষ মার্কিন আধিকারিক। শুক্রবার দ্বীপরাষ্ট্রটির প্রিমিয়ার সু সেং-চ্যাং জানিয়েছেন, আগামী ডিসেম্বর মাসে তাইওয়ান সফরে আসছেন মার্কিন Environmental Protection Agency-এর (EPA) প্রধান অ্যাণ্ড্র হুইলার।
[আরও পড়ুন: অন্য দেশের সঙ্গে ‘প্রতিপক্ষ’ ভারতের সুসম্পর্ক চায় না চিন, দাবি মার্কিন রিপোর্টে]
সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপচারিতায় চ্যাং আরও জানান, আমেরিকার সঙ্গে ক্রমেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও মজবুত করছে তাইওয়ান। তিনি বলেন, “বিদেশমন্ত্রী জোসেফ উর আমন্ত্রণে EPA প্রধান অ্যাণ্ড্র হুইলার তাইওয়ান আসছেন। পরিবেশ রক্ষায় যৌথভাবে কাজ করা নিয়ে আলোচনা হবে দুই দেশের মধ্যে। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে সমরক আরও মজবুত হবে।” প্রসঙ্গত, চিনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক থাকলেও চুক্তি মাফিক তাইওয়ানকে সুরক্ষা দিতে বদ্ধপরিকর আমেরিকা। এছাড়া, আরও একবার মার্কিন প্রতিনিধির তাইওয়ান সফর সাফ করে দিচ্ছে যে ক্রমবর্ধমান সংঘাতের আবহে ‘এক চিন’ নীতি মানবে না ওয়াশিংটন। অর্থাৎ, তাইওয়ানকে নিজেদের অংশ বলে চিনা দাবি ফুৎকারে উড়িয়ে দিয়েছে আমেরিকা।
উল্লেখ্য, তাইওয়ান-চিনের মধ্যে সম্পর্কের টানাপোড়েন তুঙ্গে। মাঝেমধ্যেই তাইওয়ানের আকাশে চক্কর দিচ্ছে চিনা কপ্টার ও যুদ্ধবিমান। লাগাতার হুঁশিয়ারি দেওয়া হচ্ছে তাইওয়ানকে। এমন পরিস্থিতিতে ‘এক চিন’ নীতিকে ধাক্কা দিয়ে গত আগস্টের ১০ তারিখ বেজিংয়ের আপত্তি উড়িয়ে তাইওয়ান সফরে গিয়েছিলেন মার্কিন স্বাস্থ্যমন্ত্রী অ্যালেক্স আজার। তারপর, গত অক্টোবর মাসে চিনকে কড়া ভাষায় হুঁশিয়ারি দেন মার্কিন জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা রবার্ট ও’ব্রায়েন। তিনি সাফ জানিয়ে দেন, গায়ের জোরে তাইওয়ান দখলের চেষ্টা করলে চিনকে ফল ভোগ করতে হবে। সমুদ্র পেরিয়ে তাইওয়ানের জমিতে ফৌজ নামানো অত্যন্ত কঠিন ব্যাপার। এছাড়া, চিন (China) সেনা পাঠালে আমেরিকা কোথায় প্রত্যাঘাত করবে সেটাও মাথায় রাখা উচিত। একইসঙ্গে দ্বীপরাষ্ট্রটিকে ১০০টি হারপুন ক্ষেপণাস্ত্র বা কোস্টাল ডিফেন্স সিস্টেম জোগান দিচ্ছে আমেরিকা।