সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: একা বৃষ্টিতে রক্ষা নেই দোসর ভয়ংকর টর্নেডো। এমনই পরিস্থিতির সাক্ষী হল চিন। সেদেশের গুয়াংঝাউ শহরে অন্তত ৫ জনের মৃত্যু হল ঝড়ের প্রকোপে। আহত ৩৩। গত কয়েক দিনের ভারী বৃষ্টিতে অন্তত ৪ জনের মৃত্যু হয়েছে গুয়াংডন প্রদেশে। তার মধ্যেই এবার টর্নেডোর দাপটও দেখল বেজিং।
প্রায় ২ কোটি মানুষের বাস গুয়াংঝাউ শহরে। সেখানেই শনিবার হানা দিল টর্নেডো। ঝড়ের দাপটে বিপর্যস্ত জনজীবন। ১৪১টি কারখানা ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হলেও কোনও বসতবাড়ির ক্ষয়ক্ষতির কথা অবশ্য জানা যায়নি। মৃত্যু হয়েছে অন্তত ৫ জনের। আহত ৩৩। জানা গিয়েছে, ঝড়ের বেগ সবচেয়ে বেশি ছিল সেকেন্ডে ২০.৬ মিটার। দ্রুত উদ্ধারকার্য শুরু হয়। তবে স্থানীয় সময় রাত দশটার পর তা বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে খবর। চিনে টর্নেডোর মতো ঝড় আমেরিকার মতো ঘন ঘন না দেখা দিলেও তা খুব বিরল নয়। ২০১৫ সালের একটি বৈজ্ঞানিক নিবন্ধে দাবি করা হয় প্রতি বছর কমবেশি ১০০টি টর্নেডো (Tornado) হয় চিনে (China)। ১৯৬১ সাল থেকে ধরলে পরবর্তী ৫০ বছরে ১৭৭২ জনের মৃত্যু হয়েছে এই ধরনের বিপর্যয়ে।
[আরও পড়ুন: বামেরা ক্ষমতায় এলে দ্বিগুণ হবে লক্ষ্মীর ভাণ্ডার! ভোটপ্রচারে সৃজনের মন্তব্য নিয়ে শোরগোল]
গত কয়েক দিনে ধরে দক্ষিণ চিনে প্রবল বৃষ্টি হচ্ছে। যার ফলশ্রুতি, দেখা দিয়েছে ভয়াবহ বন্যা। প্রাণ সংশয় দেখা দিয়েছে হাজার হাজার মানুষের। তবে সেই সঙ্গেই জোরকদমে উদ্ধারকাজ চালানোর ফলে অনেককেই নিরাপদ স্থানে নিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়েছে। তবে সরকারি সংবাদমাধ্যম জানিয়েছে, এখনও পর্যন্ত ৪ জন মানুষ মারা গিয়েছে বৃষ্টির কারণে। এমাসের শেষপর্যন্ত প্রবল বৃষ্টির পূর্বাভাস দিচ্ছে আবহাওয়া দপ্তর।