অর্ণব আইচ: বাইপাসের উপর বসছে মেট্রো রেলের পিলার। তাই চিংড়িঘাটায় যান চলাচল মসৃন রাখতে বিশেষ স্ট্র্যাটেজি নিল ট্রাফিক পুলিশ। টানা চারদিন ধরে মহড়া চলার পর বুধবার থেকে এই স্ট্র্যাটেজি অনুযায়ী যান চলাচল করবে চিংড়িঘাটায়।
পুলিশ জানিয়েছে, নিউ গড়িয়া থেকে এয়ারপোর্ট মেট্রো রুট তৈরির জন্য ৩১৮ নম্বর পিলারটি চিংড়িঘাটায় বাইপাসের উপর বসানোর পরিকল্পনা করে মেট্রো কর্তৃপক্ষ। কিন্তু ওই থামের জন্য বাইপাসে যান চলাচল যাতে ব্যহত না হয়, তার জন্য মেট্রো কর্তৃপক্ষর সঙ্গে কলকাতা পুলিশ ও বিধাননগর পুলিশের একাধিকবার বৈঠক হয়। এর পর ট্রাফিক পুলিশের কর্তারা চিংড়িঘাটায় নতুন করে ট্রাফিক স্ট্র্যাটেজি তৈরি করেন। থামের জন্য বাইপাসের রাস্তা অপরিসর হয়ে যাওয়ার ফলে যাতে যানজট অথবা কোনও দুর্ঘটনা না হয়, তার জন্য নেওয়া হয়েছে বিশেষ পরিকল্পনা। বাইপাসের যেখানে পিলার তৈরি হবে, সেই জায়গাটি পুলিশ ঘিরে ফেলে।
[আরও পড়ুন: নিউটাউনের গেস্ট হাউসে বিদেশী নাগরিকের দেহ, পাশে মিলল সুইস ভাষায় লেখা নোট]
গত শনিবার থেকে শুরু হয় মহড়া। মঙ্গলবার পর্যন্ত এই মহড়া চলে, যার উপর নজর রাখেন ট্রাফিক পুলিশের কর্তারা। ট্রাফিক পুলিশের সূত্র জানিয়েছে, উল্টোডাঙার দিক থেকে দক্ষিণগামী, অথবা দক্ষিণ দিক থেকে উত্তরগামী গাড়িগুলি ওই ঘেরা জায়গাটিকে পাশ কাটিয়ে যাবে। জায়গাটি অপরিসর হয়ে গেলেও যাতে গাড়ি দাঁড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য চিংড়িঘাটায় মোতায়েন করা হবে অতিরিক্ত ট্রাফিক পুলিশকর্মী। তাঁরা ট্রাফিক মসৃণ রাখার চেষ্টা করবেন। সল্টলেকের দিক থেকে যে গাড়িগুলি চিংড়িঘাটা হয়ে বাইপাসে উঠবে, সেগুলি নিয়ন্ত্রণ করবে বিধাননগর পুলিশ। যতক্ষণ না ট্রাফিক সিগন্যাল সবুজ না হচ্ছে, ততক্ষণ কোনও গাড়িকে বাইপাসে উঠতে দেওয়া হবে না।
সিগন্যাল সবুজ হওয়ার পর উত্তরগামী গাড়ি সরাসরি বাইপাস দিয়ে যেতে পারবে। কিন্তু যানজট এড়াতে দক্ষিণগামী গাড়িগুলিকে রাস্তা পার করে পাঠিয়ে দেওয়া হবে ক্যানাল সাউথ রোডে। সেখান থেকে ভিতরের রাস্তা দিয়ে গাড়ি ঘুরিয়ে দেওয়া হবে মেট্রোপলিটনে। এর পর বাইপাসে উঠে গাড়িগুলি দক্ষিণদিকে যেতে পারবে। পরবর্তীকালে পিলার তৈরি হয়ে যাওয়ার পর এই স্ট্র্যাটেজিতে পরিবর্তন আনা হতে পারে বলে জানিয়েছে পুলিশ।