স্টাফ রিপোর্টার: রাস্তায় বাস চালক ও কন্ডাক্টরদের বেয়াদপি। আর তাঁদের এই বেয়াদপিতে পথ দুর্ঘটনায় মৃত্যু হচ্ছে। কার্যত 'আর্জেন্ট কল' করে বেয়াদপ চালক ও কন্ডাক্টরদের বিরুদ্ধে বাস মালিকদের কাছে নালিশ জানালেন লালবাজারের কর্তারা। দোষ ঢাকতে পালটা ট্রাফিক পুলিশের বিরুদ্ধে আতঙ্ক সৃষ্টি করার অভিযোগ তুলেছেন বাস মালিকরা। কেসের নামে পুলিশি জুলুম চালানো নিয়ে সরব হন। জানা গিয়েছে, শহরে পথদুর্ঘটনায় যত মৃত্যু হয়েছে, তার মধ্যে সবথেকে বেশি ঘটেছে বাসে।
রাস্তায় বেসরকারি বাসগুলি কীভাবে ঝুঁকি নিয়ে রেষারেষি করে থাকে, ট্র্যাফিকের সিসিটিভিতে ধরা পড়া ফুটেজের কিছু দৃশ্য এদিন মালিকদের কাছে তুলে ধরে পুলিশ। কর্মরত ট্র্যাফিক পুলিশের সঙ্গে মদ্যপ চালকের দাদাগিরিও বাস মালিকদের কাছে তুলে ধরা হয়। সঙ্গে মালিকদের কাছে শহরে গুরুত্বপূর্ণ ক্রসিংগুলিতে গত এক বছরে কিছু দুর্ঘটনার ছবি তুলে ধরে পুলিশ।
ডিসি ট্রাফিক শ্রীকান্ত বলেন, "বাস চালকরা যদি একটু সচেতন হতেন তাহলে এই দুর্ঘটনাগুলি এড়ানো যেত। রাস্তায় বাস নিয়ে যেন চালকরা সাপ-লুডো খেলেন। কোনও লাইন মানেন না। নিজেদের মতো গতি তুলছেন। যেখানে সেখানে যাত্রী নামাচ্ছেন। মদ্যপ অবস্থায় বাস চালাচ্ছেন।" বাস মালিকদেরও সচেতন করে ডিসি ট্র্যাফিক আরও বলেন, "চালক ও কন্ডাক্টর নিয়োগের আগে তাঁদের ব্যাপারে ভালো করে খোঁজ নিতে হবে। মদ্যপান করে তাঁরা গাড়ি চালান কি না, তাঁদের বিরুদ্ধে কতগুলি দুর্ঘটনার মামলা রয়েছে, তা খতিয়ে দেখতে হবে মালিকদের। এই সব তথ্য ট্র্যাফিক বিভাগের কাছে পাওয়া যায়।"
এদিন সারা বাংলা বাস-মিনিবাস সমন্বয় সমিতির সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় পালটা বলেন, "এত কেস দেওয়া হচ্ছে যে, রাস্তায় ট্র্যাফিক পুলিশ দেখলে চালকরা আতঙ্কে থাকেন। ভয় পান যে, কী হয় না হয়। এমনকী অনেক ট্র্যাফিক পুলিশের মেজাজও অনেক সময় ভালো থাকে না দেখেছি। চালকদের মধ্যে এই আতঙ্ক পুলিশকে দূর করতে হবে। তিনি আরও জানান, "সব দুর্ঘটনার জন্য চালক ও কন্ডাক্টরদের দায়ী করা ঠিক নয়। পথচারীরাও দায়ী। ফুটপাথে হকার থাকায় রাস্তা পথচারীদের দখলে। অথচ দুর্ঘটনা ঘটলে তার দায় এসে পড়ছে বাস মালিকদের উপর।" পাশাপাশি, পথদুর্ঘটনা রুখতে মঙ্গলবার রেঞ্জার্স ক্লাবে বাস ও মিনিবাস মালিকদের নিয়ে সচেতনামূলক কর্মসূচির আয়োজন করে লালবাজার ট্র্যাফিক বিভাগ।