সুব্রত বিশ্বাস ও দেবব্রত মণ্ডল: কানে হেডফোন লাগিয়ে রেললাইনে বসে মোবাইলে গেম খেলার খেসারত। ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণ গেল মামা ও ভাগ্নের। শিয়ালদহ শাখার ধপধপি স্টেশনের ঘটনা। প্রাণহানির ঘটনায় এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।
রবিবার ধপধপি রেল স্টেশন সংলগ্ন মাঠে সারা রাত্রিব্যাপী একটি রবার বল টুর্নামেন্ট চলছিল। ওই খেলা দেখতে গিয়েছিলেন সালাউদ্দিন মণ্ডল ও রাকিবুল মোল্লা। সালাউদ্দিন দক্ষিণ ২৪ পরগনার জয়নগর থানার পদ্মেরহাট এলাকার বাসিন্দা। ঠাকুরের চকের বাসিন্দা রাকিবুল মোল্লা। সম্পর্কে তাঁরা দু’জন মামা ও ভাগ্নে।
[আরও পড়ুন: বিধাননগরে জয়ের পরই দলনেত্রী মমতার কাছে সস্ত্রীক সব্যসাচী দত্ত, পেলেন উপহারও]
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খেলা চলাকালীন সালাউদ্দিন ও রাকিবুল কানে হেডফোন লাগিয়ে রেললাইন উপর বসেছিলেন। দু’জনেই মোবাইল গেমে ব্যস্ত ছিলেন। ঘড়ির কাঁটায় তখন সন্ধে সাতটা হবে। মামা ও ভাগ্নে যখন মন দিয়ে মোবাইলে গেম খেলছিলেন সেই সময় হঠাৎই আপ নামখানা লোকাল চলে আসে। ওই ট্রেনের ধাক্কায় ঘটনাস্থলেই মামা ও ভাগ্নে প্রাণ হারান। খবর পেয়ে বারুইপুর থেকে ঘটনাস্থলে পৌঁছয় রেলপুলিশ। দেহ দু’টি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তে পাঠায়। মর্মান্তিক ঘটনায় পদ্মেরহাট ও ঠাকুরের চক এলাকায় নেমেছে শোকের ছায়া।
দু’দিন আগে প্রায় একই কাণ্ড ঘটে মেদিনীপুরে। বছর সাঁইত্রিশের মুস্তাক আলি খান ওরফে মিঠু, আবির গায়েন মেদিনীপুর সদর ব্লকের হাতিহলকা ও রাজারবাগানের বাসিন্দা। শনিবার ওই দুই যুবক-সহ আরও অনেকেই মেদিনীপুরের রাঙামাটি রেলব্রিজের নিচে পিকনিক করতে এসেছিলেন। দিনভর আনন্দ করেন তাঁরা। বিকেল পৌনে পাঁচটা নাগাদ সেলফি তুলছিলেন তাঁরা। আর সেই নেশাই করল কাল। রেললাইনের উপর দাঁড়িয়ে সেলফি তোলার সময় হাওড়াগামী লোকাল ট্রেন ধাক্কা মারে ওই দুই যুবককে। ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় দু’জনের। সেই ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই এবার ট্রেনের ধাক্কায় প্রাণহানির সাক্ষী ধপধপি স্টেশন।