কলহার মুখোপাধ্যায়: শিক্ষকদের (Teachers) সাধারণ বদলির প্রক্রিয়া পুনরায় শুরু হতে চলেছে। শিক্ষা দপ্তর সূত্রে শোনা গিয়েছে এই খবর। দপ্তরের পোর্টাল মারফত শুরু হতে চলেছে এই ট্রান্সফার প্রক্রিয়া। এমন খবর প্রকাশ্যে আসায় আশাবাদী রাজ্যের শিক্ষকরা।
শিক্ষকদের একাংশের বক্তব্য, দিন দু’য়েক আগে ট্রান্সফার পোর্টালে সেলফ ইনিশিয়েটিভ বলে একটি অপশনে জেনারেল ট্রান্সফার চালু হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। পাশাপাশি সোমবার শিক্ষাকর্মীরা অনলাইন মিউচুয়াল ট্রান্সফারের জন্য আবেদনের অপশন খুলে দেওয়া হয় বলে জানা গিয়েছে। অনেকেই আবেদন করলেও যদিও বিকালের পর পুনরায় তা বন্ধ হয়ে যেতে দেখা গিয়েছে। অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার এ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক চন্দন গরাই জানিয়েছেন, “শিক্ষামন্ত্রী ও কমিশনারকে এ বদলি প্রক্রিয়া শুরু এবং তা নোটিসের মাধ্যমে জানানোর জন্য স্মারকপত্র জমা দেওয়া হয়েছে বিকাশভবনে।”
[আরও পড়ুন: করোনা রুখতে কড়া পুরসভা, সপ্তাহে ৩ দিন বন্ধ দক্ষিণ দমদমের একাধিক বাজার]
কয়েকটি শিক্ষক সংগঠনের বক্তব্য, ২০১৪ সালে স্কুলে জেনারেল ট্রান্সফারে কিছু সংখ্যক শিক্ষক বাড়ির কাছে আসার সুযোগ পেলেও বেশিরভাগই অপেক্ষা করতে থাকেন পরবর্তী নোটিসের জন্য। কিন্তু ৮ বছর হতে চললেও জেনারেল ট্রান্সফার পাকাপাকিভাবে চালু না হওয়ায় সকলের হতাশা বাড়ছে। স্পেশ্যাল ট্রান্সফার চললেও এই প্রক্রিয়ায় সাধারণভাবে বেশিরভাগ শিক্ষক সুযোগ পাননি। দীর্ঘদিনের দাবি মতো গতবছর অক্টোবর মাসে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় অনলাইন মিউচুয়াল ট্রান্সফার পোর্টাল শুরু করলেও বহু সমস্যায় অনেকেই আবেদন করতে পারেনি। আট মাস হতে চললেও শিক্ষাকর্মীরা ট্রান্সফার পায়নি এই পোর্টালের মাধ্যমে। আবার সেকশন সমস্যায় এইচএস সেকশনের অনার্স পিজি টিচাররা অনলাইনে আবেদনের সুযোগ পাচ্ছেন না একই যোগ্যতার অনার্স পিজি টিচারদের সঙ্গে।
এরই মধ্যে দিন দু’য়েক আগে ট্রান্সফার পোর্টালের একটি অপশনে জেনারেল ট্রান্সফার চালু হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গিয়েছে। সংগঠনগুলির মতে আবেদনকারীকে পাঁচ বছর একই পোস্টে কর্মরত হতে হবে। আবার জুনিয়র হাই স্কুলের টিচার সংখ্যা কম থাকায় সেই শ্রেণির শিক্ষকরা আবেদন করতে পারবেন না বলে শোনা যাচ্ছে। এই তথ্যগুলি যদিও কয়েক ঘণ্টা পোর্টালে ছিল। তারপর তা আর দেখতে পাওয়া যায়নি। তবে স্বভাবতই শিক্ষকমহল জেনারেল ট্রান্সফার শুরু হওয়ার ইঙ্গিতে আশাবাদী। এরই মাঝে শিক্ষাকর্মীরা অনলাইন মিউচুয়াল ট্রান্সফারের জন্য দীর্ঘ কয়েক মাস অপেক্ষা করার মাঝেই সোমবার তাঁদের আবেদনের অপশন খুলে দেওয়া হয়। অনেকেই আবেদন করলেও বিকালের পর পুনরায় বন্ধ হয়ে যায়। যদিও কয়েকটি শিক্ষক সংগঠন নোটিফিকেশন ছাড়া আবেদন না করার বার্তা দিয়েছিল। শিক্ষাকর্মীরা তাদের ইউনিক আইডি ও প্যান নম্বর দ্বারা অপশন খুলে ম্যাচিং পার্টনার পাওয়ার চেষ্টায় ছিলেন। তবে মাঝপথেই তা বন্ধ হওয়ায় অনেকেই হতাশ। শিক্ষক শিক্ষাকর্মী শিক্ষানুরাগী ঐক্য মঞ্চের রাজ্য সম্পাদক কিঙ্কর অধিকারী বলেছেন,”আমাদের দাবি, এ বিষয়ে ধোঁয়াশা কাটাতে শিক্ষা দপ্তর থেকে একটি নোটিস জারি করে জানানো হোক এবং শিক্ষক শিক্ষাকর্মীদের জন্য আবেদনের ভিত্তিতে অনলাইন ট্রান্সফার প্রক্রিয়া দ্রুত শুরু করা হোক।”