নব্যেন্দু হাজরা: বাংলা থেকে বন্ধের সংস্কৃতি বিদায় নিয়েছে। বঙ্গবাসীর জীবনের ডিকশনারি থেকে মুছে গিয়েছে ধর্মঘট শব্দটি। জনজীবন থেকে কর্মদিবস বাতিল হওয়ার দিন এখন ইতিহাস। স্বাভাবিকভাবেই ধর্মঘট মোকাবিলার সরঞ্জামেও ধুলো জমেছে। তাই বিজেপি বন্ধ ডাকতেই তড়িঘড়ি ধুলো ঝেরে নামানো হচ্ছে হেলমেট। আগামিকাল অর্থাৎ বুধবার সেই হেলমেটেই মুখ ঢাকবেন সরকারি বাসের চালকরা।
নবান্ন অভিযানে পুলিশি 'হেনস্তা'র প্রতিবাদে বুধবার ১২ ঘণ্টার বাংলা বন্ধের ডাক দিয়েছে বিজেপি। যদিও প্রশাসন ধর্মঘট বানচাল করতে তৈরি। জানিয়েছে, জনজীবন স্বাভাবিকই থাকবে। দোকানপাট খোলা থাকবে। বাস, ট্রেনও চলবে। নিত্যযাত্রীদের হয়রানি রুখতে চলবে অতিরিক্ত সরকারি বাস। সকাল ৬টা থকে সরকারি বাস রাস্তায় নামবে বলে জানিয়েছেন পরিবহণ মন্ত্রী স্নেহাশিস চক্রবর্তী। শুধু তাই নয়, বেসরকারি বাস মালিকদের সঙ্গেও কথা হয়েছে তাঁর। জনজীবন স্বাভাবিক রাখতে বেসরকারি বাস মালিকরাও বাস চালাবেন বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
[আরও পড়ুন: ভাঙল ব্যারিকেড, পালটা জলকামান, নবান্ন অভিযান ঘিরে পুলিশ-মিছিলকারীদের খণ্ডযুদ্ধ]
পরিবহণ দপ্তরের বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, সিএসটিসির ৫০০, সিটিসির ১৭০, ডব্লিউবিএসটিসির ৭০টি বাস চলবে। ভেসেল চলবে ২৩টি। সকাল ৬টা থেকে কন্ট্রোল রুম চালু হয়ে যাবে। বাতিল করা হয়েছে কর্মীদের ছুটিও। রাস্তাঘাটে গোলমালে চালকদের যাতে কোনও ক্ষতি না হয়, সেই উদ্দেশ্যে চালকদের হেলমেট দেওয়া হবে।
যা দেখে রাজনৈতিক মহল বলছে, যে সংস্কৃতি বাংলা থেকে বিদায় নিয়েছিল, গেরুয়া শিবিরের হাত ধরে আবার ফিরছে সেই বন্ধের সংস্কৃতি। তবে তার মোকাবিলায় প্রস্তুত রাজ্য সরকারও।