নব্যেন্দু হাজরা: বেসরকারি বাসের (Bus) অচলাবস্থা কাটাতে সোমবার বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন রাজ্যের পরিবহন মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim)। ভাড়াবৃদ্ধির বিষয়টি নিয়ে ওইদিন আলোচনা হওয়ার কথা। বৃহস্পতিবার থেকে বিধিনিষেধ উঠলেও ভাড়াবৃদ্ধির দাবিতে অনড় বাস মালিকরা রাস্তায় গাড়ি নামাচ্ছেন না। ফলে রাস্তায় বেরিয়ে দুর্ভোগে পড়েছেন সাধারণ মানুষ। পর্যাপ্ত সরকারি বাস নামিয়েও হয়রানি এড়ানো যাচ্ছে না। পরিস্থিতি বিবেচনা করেই সোমবার বাস মালিকদের সঙ্গে বৈঠকে বসার সিদ্ধান্ত মন্ত্রীর।
শনিবার তিনি বলেন, “পেট্রোল-ডিজেলের দাম অস্বাভাবিক বেড়ে গিয়েছে। তাই ওঁরাও সমস্যায় পড়েছেন। আমাদেরও বাস চালাতে অসুবিধা হচ্ছে। তবু সাধারণ যাত্রীদের কথা তো ভাবতে হবে। আমরা বারবার করে ওঁদের অনুরোধ করেছি বাস নামাতে। না হলে সরকার কঠোরতর সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হবে। সোমবার বাস মালিকদের বৈঠকে ডাকা হয়েছে।”
[আরও পড়ুন: বিধায়ক হয়ে বিরাট কিছু হয়ে যাননি! প্রশিক্ষণ শিবিরে জনপ্রতিনিধিদের ‘শাসন’ দিলীপের]
বৃহস্পতিবার থেকে রাজ্যে সরকারি, বেসরকারি বাস চালুর কথা ঘোষণা করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু সরকারি বাস রাস্তায় নামলেও নামছে না বেসরকারি বাস। হাতে গোনা কয়েকটি রুটের বাস চলছে মাত্র। যে কয়েকটি বাস চলছে সেগুলিও অতিরিক্ত ভাড়া নিচ্ছে। মালিকদের দাবি, ভাড়া না বাড়ালে গাড়ি নামাবেন না তাঁরা।
এই পরিস্থিতিতে আগামী সোমবার মফস্বলের বিভিন্ন এলাকা থেকে শহরে আসার কয়েকটি রুটের বাস চালানো হবে বলে ঠিক হয়েছে। বাস মালিকদের দাবি, লোকাল ট্রেন বন্ধ। ফলে এমনিতেই বাসে যাত্রী কম। ফলে পুরনো ভাড়ায় বাস চালানো অসম্ভব। একদিন যারা বাস নামিয়েছিল দ্বিতীয় দিন তারা আর নামাতে চাইছে না। আর বাস না নামার সুযোগেই সাধারণ যাত্রীদের পকেট কাটছে অটো, ট্যাক্সি, ক্যাব। বাস না পেয়ে বার বার ব্রেক জার্নি করতে গিয়ে মানুষের খরচ এক ধাক্কায় অনেকটা বেড়ে গিয়েছে।
[আরও পড়ুন: আগামী সপ্তাহ থেকে আরও বাড়ছে মেট্রোর সংখ্যা, জেনে নিন সময়সূচি]
বৈঠক প্রসঙ্গে বেঙ্গল বাস সিন্ডিকেটের সহ সভাপতি সুরজিৎ সাহা বলেন, “বাস সমস্যার সমাধানে পরিবহন মন্ত্রী আমাদের সংগঠনের সভাপতি স্বর্ণকমল সাহাকে আলোচনার জন্য সোমবার ডেকেছেন।” ‘ওয়েস্ট বেঙ্গল বাস মিনিবাস ওনার্স অ্যাসোসিয়েশন’-এর সাধারণ সম্পাদক প্রদীপ নারায়ণ বসু এবং ‘অল বেঙ্গল বাস মিনিবাস সমন্বয় সমিতি’-র সাধারণ সম্পাদক রাহুল চট্টোপাধ্যায় জানান, আলোচনায় ডাকলে অবশ্যই যাবেন। কিন্তু ভাড়া বাড়ানো ছাড়া যে আর উপায় নেই, তা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন তাঁরা।