সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ব্যস্ত দিন, ব্যস্ত সময়। সারা সপ্তাহের ইঁদুর দৌড়। হাজারও কাজের মাঝে মন খোঁজে ফুরসত। কবে আসবে উইকএন্ড? কবে নিরুদ্দেশ হওয়া যাবে অজানা ঠিকানায়? সপ্তাহশেষে হাতে গোনা ছুটির সংখ্যা মোটে এক বা দুই৷ তাই বা কম কীসে? কাছে-পিঠে তো হাওয়াবদল করে আসাই যায়৷
ছবি: সংগৃহীত
পাহাড়-সমুদ্র তো হামেশাই যান, কখনও জঙ্গলের মাদকতা অনুভব করেছেন? শহরের কোলাহল থেকে মাত্র কয়েক ঘণ্টার দূরত্বে সোঁদা মাটির গন্ধ নিয়ে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে শাল-পিয়ালের দল। ভালকি মাচান (Bhalki Machan)। নামটা বোধহয় অনেকেই শোনেননি। কিন্তু, যাঁরা গেছেন তাঁরা বুঁদ হয়ে ফিরেছেন জঙ্গলের নেশায়।
কী দেখবেন –
বেশিরভাগ পর্যটনস্থান প্রকৃতি সাজিয়ে রাখে তাঁর প্রেমিকের জন্য। কিন্তু, ভালকি মাচান গড়ে উঠেছে মানুষের হাতের ছোঁয়ায়।
এর বিশাল পার্ক পিকনিক প্রেমীদের কাছে আদর্শ স্থান।
যাঁরা দু-এক দিন থাকতে ইচ্ছুক তাঁদের জন্য রয়েছে শাল-পিয়ালের নিবিড় হাতছানি। যার ছায়ার জঙ্গলবিহারে বের হতেন বর্ধমানের রাজারা।
স্থানীয় গ্রাম পঞ্চায়েতের উদ্যোগের তৈরি হয়েছে সুন্দর দিঘিগুলো। যাতে রয়েছে নৌকাবিহারের ব্যবস্থা।
ছবি: সংগৃহীত
[আরও পড়ুন: বাস্তব অবলম্বনে তৈরি জন-শর্বরীর ‘বেদা’র সম্ভাবনা প্রচুর ছিল, কিন্তু…]
কীভাবে যাবেন –
ট্রেনে করে গেলে মানকর রেল স্টেশনে নামতে হবে। তারপর সেখান থেকে রিকশা নিয়ে ভালকি মাচান।
কিন্তু সব ট্রেন মানকরে থামে না। তাই বর্ধমান নেমেও যাওয়া যায়। সেক্ষেত্রে গাড়ি ভাড়া করতে হবে।
আর যদি সড়ক পথে যান, তবে ২ নম্বর জাতীয় সড়ক ধরে দুর্গাপুরের রাস্তা ধরতে হবে গলসি পর্যন্ত। গলসি থেকে ডানদিকের রাস্তা ধরলে পৌঁছে যাবেন মানকর।
ছবি: সংগৃহীত
কোথায় থাকবেন –
কলকাতা থেকে বর্ধমানের দূরত্ব মাত্র ৩ ঘণ্টা। তাই বেশিরভাগ মানুষই পিকনিক করতে যান। তবে, যাঁরা দু-এক দিন কাটিয়ে আসতে চান, তাঁদের জন্য রয়েছে আউসগ্রাম পঞ্চায়েতের সাজানো অরণ্যসুন্দরী রিসর্ট। এছাড়াও যমুনাদিঘিতে রয়েছে রয়েছে রাজ্য মৎস উন্নয়ন নিগমের রিসর্ট। যেখানে থাকার সুবিধা তো রয়েছেই, সঙ্গে রয়েছে পুকুর থেকে ধরা মাছের আস্বাদ পাওয়ার সুযোগ।