সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: চারিদিকে কঠিন সময়। শহরজুড়ে প্রতিবাদ। নিত্যদিনের ব্যস্ত শিডিউলের ক্লান্তি ভুলে পথে নেমেছেন অনেকেই। বিলম্বিত ন্যায়বিচারে কেমন যেন গুমোট পরিস্থিতি! মন খারাপের ভিড়। এদিকে সামনেই পুজো। মায়ের অসুর নিধনের অপেক্ষায় সকলে। পুজোর কদিনের ছুটিতে স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলতে তাই ঘুরে আসতে পারেন ডুয়ার্সের বেশ কিছু অফবিট গন্তব্য থেকে। দার্জিলিংয়ের অনতিদূরেই সৌন্দর্যের খনি এই জায়গাগুলি। একেবারে ‘পকেট ফ্রেন্ডলি’ ট্যুর হয়ে যাবে।
Advertisement
গুরদুম
মানেভঞ্জন থেকে ৫ কিলোমিটার দূরে এক ছোট্ট গ্রাম। শিলিগুড়ি থেকে সুখিয়া পোখরি হয়ে মানেভঞ্জন চলে যান। সেখান থেকে ব্রেক করে গুরদুমে পৌঁছতে হবে। দার্জিলিং থেকে যেতে চাইলে শেয়ার ক্যাব করে নিন সুখিয়া পোখরি অবধি। সেখান থেকে আবার গাড়ি নিয়ে গুরদুম। এখান থেকে টুমলিং, শ্রীখোলা, টোংলু, ধোত্রের মতো ডেস্টিনেশনগুলো কাছে।
শ্রীখোলা
গুরদুমে একরাত থেকে শ্রীখোলা অনায়াসে যেতে পারেন। সান্দাকফু-ফালুট ট্রেকিং রুটের মধ্যে পড়ে শ্রীখোলা। ট্রেক না করেও আপনি কিন্তু সোজা এখানে ঘুরে আসতে পারবেন দার্জিলিং থেকে গাড়ি নিয়ে যেতে পারবেন। এনজিপি থেকে সোজা যেতে হলে খরচ খানিক বেশি। ওক, ম্যাগনোলিয়ার ভিড়ে হারিয়ে যেতে পারবেন।
[আরও পড়ুন: মসলিন না জামদানি, কোন ম্যাটেরিয়ালের শাড়ি পরলে পুজোয় দিনভর ফুরফুরে থাকবেন?]
বারমেক
কালিম্পংয়ের কাছেই একটা ছোট্ট গ্রাম। যেখানে কাঞ্চনজঙ্ঘা দেখার সাধ মিটবে ঘরে বসেই। এখানকার ঠান্ডা বাতাস এক নিমিষে ভুলিয়ে দিতে পারে নিত্যদিনের কোলাহল, ব্যস্ততাকে। এখান থেকে সিকিমের একটা অংশ দেখা যায়। নিউ জলপাইগুড়ি স্টেশন কিংবা বাগডোগরা এয়ারপোর্টে নেমেই সেখান থেকে গাড়ি ভাড়া করে পৌঁছে যেতে পারবেন বারমেকে। মোটে ৬৫-৭০ কিলোমিটার।
দারাগাঁও
কালিম্পং পার করে এগোলেই দারাগাঁও। রামধুরার পরই দারাগাঁও। চারিদিক ঢাকা ঘন সবজে পাহাড়। দারাগাঁওকে ঘিরে দাঁড়িয়ে রয়েছে পাইন আর সিঙ্কোনা। দারাগাঁওয়ের কোলে বসে দেখা যায় দার্জিলিং, কালিম্পং ও সিকিমের পাহাড়। দারাগাঁওতে স্টে করে সহজেই ঘুরে নিতে পারবেন ইচ্ছেগাঁও, সিলেরিগাঁও, রামধুরা।